ডুমুরিয়ার আঠারমাইলে বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে গরুহাটঃ পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পন্ড
আব্দুর রশিদ বাচ্চু:
খুলনার ডুমুরিয়ার ঐতিয্যবাহি আঠারমাইল পশু হাটে বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে গরু ব্যাবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা গরু মালিক ও ব্যাপারীদের নিয়ে আসা ৩/৪ হাজার গরু মুহূর্তের মধ্যে হাটে ভরে যায়। এ সময় গরু ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়ে হাটের পূর্ণতা হয়ে ওঠে । হাট ইজারাদার মোঃ রফিকুল ইসলাম হেলাল আমাদের মুঠো ফোনে বলেন সরকারী ভাবে হাট বন্ধ আছে। আমি হাটের কোন খবর জানি না। যদি কেউ গরু ক্রয় বিক্রয় করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্হা করবেন।
অনেক গরুর মালিক ও ব্যাপারী আমাদের বলেন, আমরা গরু বিক্রি করে চাউল কিনে খাবো। তায় আমরা হাটে গরু বিক্রি করতে এনেছি। আমরা খাবো কি?? আমাদের কেউ সাহায্য করে না। হাটে গরু বিক্রি করে চাউল কিনে নিয়ে যাব। আমাদের হাট টি দয়া খুলে দেন। এমনি আকুতি মিনতি করে হাটের অসহায় গরুর মালিক। ঈদকে সামনে রেখে অনেক আশায় গরু পেলে যখন বিক্রি করতে পারছে না তখন তাদের বুক ফাটা আর্তনাদ দেখতে পাওয়া যায়। সরকারী বিধি নিষেধ ও ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের ঢেউ সামলাতে স্হানীয় পুলিশ প্রশাসনের দেখা যায় কঠোর অবস্থানে।মাগুরাঘোনা বিট পুলিশের এস আই এস এম হাবিবুল্লাহ নেতৃত্বে এ এস আই সোহেল রানা,এ এস আই মাসুদ রান,কনস্ট্রবল মাসুম বিল্লাহ, আলী আহমেদ,আবু সাঈদ,সাব্বির হোসেনসহ সকলে গরু হাট ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গরুর মালিক ও ব্যাপাটিরা বিভিন্ন দিক দিয়ে গরু নিয়ে চলে যায়।
এ দিকে হাট বন্ধে বিপাকে পড়েছে ইজারাদারসহ হাজার হাজার ব্যাপারী। কর্মহীন হয়ে পড়া ব্যাপারীরা চায় স্বাস্হ্য বিধি মেনে সকল পশু হাট ঈদের আগে চালু করার দাবী জানিয়েছেন । ডুমুরিয়া সকল গরু ছাগল হাটের ইজারাদার গরু ব্যবসায়ীদের করুণ দূর্দশায় দিনযাপন করছেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খুলনা সকল হাট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে সকল পশুরহাটের বেপারী ইজারাদার সহ হাজার হাজার ব্যাপারী, গাড়ির ড্রাইভার, হট মালিক কর্তৃপক্ষূের মাঝে কুরবানীর ঈদে গরু ছাগল বিক্রয় নিয়ে শংশয় দেখা দিয়েছে।
Please follow and like us: