করোনার রোগী অর্ধেকের বেশি গ্রামের

নিউজ ডেস্ক:

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যু হু হু করে বাড়ছে। সারাদেশই এখন করোনার হট স্পট। গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু এবং রেকর্ড ৯ হাজার ৯৬৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, হাসপাতালে ৫০ শতাংশের বেশি করোনা রোগী গ্রাম থেকে আসছেন। এসব রোগীর রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হওয়ার পরই হাসপাতালে আসছেন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকার হাসপাতালগুলোতে সংকট বাড়ছে। রাজধানীর বাইরে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই রোগী নিয়ে রাজধানীতে ছুটে আসছেন। তাদের অধিকাংশই প্রথমে সরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ’র জন্য ছুটছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের ৪ঠা জুলাই ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ২২৯ জনে। টানা ৯ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যু একশ ছাড়িয়েছে। নতুন করে দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৪ জন, যা দৈনিক শনাক্তের এ সংখ্যা এতদিন এর আগে দেখা যায়নি দেশে।

বিভাগ ভিত্তিক শনাক্তের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের মোট শনাক্তের ৪২ দশমিক ৬৫ শতাংশ রোগী রয়েছেন ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৫০ জন। এ বিভাগে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ হিসাবে সামান্য বাড়ছে করোনার রোগী। ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ২৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮৯ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৮০ শতাংশ। চট্টগ্রামে বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। রাজশাহীতে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১২৩ জন। শনাক্তের  হার ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা ৬৭৬ জন। শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ দশমিক ২২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৭০ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা ৪৩৬ জন। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৫৩ জন। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এদিকে দেশে গত ৮ দিনে করোনায় ১ হাজার ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটিতে গতকাল সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ৪ জুলাই ১৫৩ জন মারা যান, ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ১ জুলাই ১৪৩ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন এবং ২৮ জুন ১০৪ জন মারা যান।

গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। এসব রোগী রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন।

তিনি আরো বলেন, ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেছি। তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ রোগী গ্রাম থেকে আসছেন এবং তারা গুরুতর অবস্থায় এসে ভর্তি হচ্ছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)