কালিগঞ্জের বিয়ের মাত্র ৭ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো আঞ্জুমান আরা
ডেস্ক রিপোর্ট:
হাত থেকে মেহেদীর রঙ না মুছতেই ঝরে গেল এক গৃহবধূর জীবন। বিয়ের মাত্র ৭ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আঞ্জুমান আরা (১৮) নামের ওই তরুণী গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। নিহত গৃহবধূ বসন্তপুর গ্রামে আব্দুল খালেকের নাতনী ও স্থানীয় কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগেব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
নিহতের নানী ছকিনা খাতুন (৫০) জানান, আঞ্জুমান আরার বাবা আনারুল সরদারের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামে। সে বসন্তপুরে নানা নানীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো। কালিগঞ্জ সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় গত সোমবার পারিবারিক ভাবে একই এলাকার বাবর আলী ওরফে বাবু মোড়লের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৮) এর সাথে আঞ্জুমান আরা’র বিয়ে হয়। রবিবার (৪ জুলাই) সকালে আঞ্জুমান আরার স্বামী রাজমিস্ত্রীর সহযোগী সাইদুল ইসলাম কাজের জন্য বাইরে চলে যান। এ সময় ঘরের আড়ার সাথে ওড়নার সাহায্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন আঞ্জুমান আরা। সকাল ১০ টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আঞ্জুমান আরাকে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাতনী মানসিক সমস্যায় ভুগছিল বলে জানান নানী ছকিনা খাতুন।
খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনেন।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, আপাতত এঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।