অক্সিজেনে সংকটে সাতক্ষীরা মেডিকেলে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
অক্সিজেনে সংকটে সাতক্ষীরা মেডিকেলে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রোববার বেলা ১১টায় তারা সামেক হাসপাতালে আসেন। পরে তারা গত ৩০ জুনের অক্সিজেনের সংকটের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। টিমের প্রধান মোংলা পোর্টের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোশারফ হোসেন ও সদস্য খুলনা বিভাগীয় সহকারি পরিচালক (স্বাস্থ্য) রফিকুল ইসলাম গাজী এ সময় তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম গাজী এ সময় জানান, তারা তদন্তের প্রথম কার্যদিবস শুরু করেছেন। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তারা সার্বিক ঘটনা তদন্তের পর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন সংল্লিষ্ট দপ্তরে। তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেলের তত্বাবধায়ক ও অধ্যক্ষসহ ওই দিনের দায়িত্বরত ২২জন কর্মকর্তা, কর্মচারির লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন তারা।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবারের রাতের ওই ঘটনায় গঠিত সামেক হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা কর্তৃক গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি আরও সাত দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তদন্ত টিমের প্রধান হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কাজী আরিফ আহমেদ জানান, সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ফ্লো কমে যাওয়ায় কয়েকজন রোগী মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু শুক্রবার ও শনিবার থাকায় এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলাসহ আনুসঙ্গিক কারনে এত স্বল্প সময়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব নয়। যেকারণে আরও সাত দিন সময় চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা মেডিকেলে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংকটে পড়ে অন্তত ছয়জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ চারজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পর দিন হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় একই দিনে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা দুই সদস্যের পৃথক আরেকটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটিকেও সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।