কানে পিঁপড়া ঢুকলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন
চিকিৎসা ডেস্ক :
অনেক সময় নিজেদের অসাবধানতার কারণে কানে পিঁপড়া বা ছোট কোনো পোকা-মাকড় ঢুকে পড়তে পারে। যা বেশ ভীতিকর ও কষ্টের। এমন সমস্যায় আমরা কমবেশি সবাই পড়েছি। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, খেলতে গিয়ে তারা অনেক সময় নাকে বা কানে কোনোকিছু ঢুকিয়ে ফেলে।
এছাড়া বড়দের মধ্যেও অনেকের কানে বা নাকে খোঁচাখুঁচি করার বদ অভ্যাস থাকে। তারা হাতের কাছে যা পান যেমন- ম্যাচের কাঠি, কটন বাড, মুরগির পালক ইত্যাদি কান চুলকানো বা খোঁচানোর কাজে লাগান।
পিঁপড়া, পোকা-মাকড় হোক কিংবা অন্য কোনো বস্তু, কানের ভেতরে কিছু গেলে তা নিয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়। এতে বড় কোনো বিপদ ঘটার ভয় থাকে। তবে কানে যাই ঢুকুক না কেন তা বের করার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
কানে যা ঢুকতে পারে
>> পেনসিলের শীষ
>> পাখি বা মুরগির পালক
>> কটন বাড বা তুলার অংশ
>> ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা
>> শস্যদানা-চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিঁড়া
>> রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট ছোট খেলনার অংশ, ইত্যাদি
>> জীবন্ত পোকামাকড় যেমন- পিঁপড়া, মশা, মাছি, আস্ত তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি।
যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে
>> কানে ব্যথা হতে পারে
>> শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে
>> কানের প্রচণ্ড অস্বস্তি হতে পারে
>> জীবন্ত পোকা-মাকড় বিরক্তি ও ভয়ের উদ্রেক করতে পারে।
কানে পিঁপড়া বা কোনো বস্তু ঢুকলে যা করবেন
কানে পিঁপড়া ঢোকার পরে যদি তা দ্রুত বের না করেন তাহলে সেটি মস্তিষ্কে ঢুকে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেটি বের করতে হবে। শুধু পিঁপড়া নয়, কানে যেকোনো পোকা বা বস্তু ঢুকলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের করতে হবে। ঘরে বসে সম্ভব না হলে নাক, কান, গলা বা ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
কানে যদি পিঁপড়া বা জীবন্ত কোনো পোকা ঢুকে যায় তবে কানের ভেতর সামান্য অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল দিতে হবে। এতে পিঁপড়া বা অন্য কোনো পোকা থাকলে সেটি মারা যাবে। তারপর বের করতে হবে। অযথাই খোঁচাখুঁচি করতে যাবেন না, তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
শিশুর কানে কিছু ঢুকলে অনেক সময় সে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করতে পারে। তাই তাকে জোরাজুরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।