হাত, পা ও মাথা কাটা নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে-স্বজনদের দাবী যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী ইছামতির সাতক্ষীরার ভাতশালা এলাকা থেকে হাত, পা ও মাথা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নিহত নারীর পরিচয় অবশেষে পাওয়া গেছে। তিনি দেবহাটা উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমির উদ্দীনের কন্যা মোসলেমা খাতুন (২৫)।

যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী তাকে হাত,পা ও মাথা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে তার মরদেহটি বাংলাদেশ সীমান্তের দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা এলাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের স্ক্রলে রাতে দেখার পর নিহত নারীরা স্বজনরা খোঁজ খবর নিয়ে দেবহাটা থানায় গিয়ে মরদেহটি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হাড়দ্দাহ এলাকার ইছামতির নদীর ধারে গেলে সেখান থেকে তার দুটি কাটা পা উদ্ধার করে।

নিহতের ফুফাতো ভাই আবু ছালেক জানান, গত ২/৩ বছর পূর্বে দেবহাটা উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের বাবরালী সরদারে ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে তার বোন সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমির উদ্দীনের কন্যা মোসলেমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী রফিকুল ও বড় স্ত্রী রাবেয়াসহ তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই তাকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে তারা গত রবিবার (২৭ জুন) রাতের কোন এক সময় তার বোন মোসলেমাকে হাত, পা ও মাথা কেটে টুকরো টুকরো করে হত্যা করে বলে তারা ধারনা করছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রফিকুল ও তার বড় স্ত্রী রাবেয়াসহ ৫ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়া হুসেন জানান, এ ঘটনা তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, থানায় মামলা দায়েরর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)