সাতক্ষীরায় একদিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যুঃসংক্রমনের হার ৩২.৭৩ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় ৪র্থ দফার সাত দিনের লকডাউনের ৩য় দিনে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে অনেটাই।তবে বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৫ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৩২দশমিক ৭৩শতাংশ।এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২শ ৬২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩শ ৩৪ জন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রুগীর সংখ্যা ৮ শ ৬২জন।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৬৭ জন এদের মধ্যে ২৭জনের করোনা পজেটিভ। ২জন আইসিইউ তে আছে। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১১১ জনের মধ্যে ১৭জন পজেটিভ।আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ৮জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩শ ২১জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা জায়নি । জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্য বরণ করেছে ৬৬ জন।
এদিকে, চতুর্থ দফা চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনও (২৪তম দিন) চলছে হেলাফেলাভাবে। লকডাউনের নামে সড়কে যেনো তামাশা চলছে। ভারি যানবাহন ছাড়া সবই চলছে স্বাভাবিকভাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মানুষ চলাফেরা করছেন। হাট বাজার গুলোতেও ভিড় লক্ষনীয়। তবে বেলা ১১ টার পর সব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চলছে কেনাবেচা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেড মানছে না কেউ। লকডাউনের মধ্যে মানুষ নানা অজুহাতে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসন। পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে, শহরের ইজিবাইক, রিকসা, ভ্যান ও মোটর সাইকেলে লোক চলাচল করছেন চোখে পড়ার মত। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, জনসচেতনতা কম থাকায় মানুষ লকডাউন লঙ্ঘন করছে। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী জেলার ৭ টি উপজেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য পুলিশ বিভিন্ন সড়কে বসিয়েছে ব্যারিকেড।