সাতক্ষীরার কুখরালীতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ
সাতক্ষীরার কুখরালীতে জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতার যেরধরে একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছে প্রতিবেশি আলতাবুল। রবিবার গভীর রাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালি আমতলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল হাকিমের পুত্র শহীদুজ্জামান শিমুল বলেন কুখরালী গ্রামের মো: মোহাব্বত আলীর ছেলে আলতাবুল, আলতাবুলে স্ত্রী মইফুল ও এরশাদ বাটুলের ছেলে, সাবুর আলী দীর্ঘ দিন যাবত আমার পৈাত্রিক সম্পতি দখলের চেষ্টা করে আসছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে দীর্ঘ দিন। তবে কোন ভাবে আমার পৈাত্রিক সম্পতি দখল করতে না পেরে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আর্থিক ক্ষতি করেছে।
এবার পুকুরে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া সহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো ঘেরে ছাড়ার উপযোগী হয়ে উঠতো।
শনিবার রাতে কুখরালী গ্রামের মো: মোহাব্বত আলীর ছেলে আলতাবুল, আলতাবুলে স্ত্রী মইফুল ও এরশাদ বাটুলের ছেলে কুখরালী এলাকার মামলাবাজ ক্ষাত সাবুর আলীকে পুকুরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। রবিবার সকাল থেকেই পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখি। পরে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠে।
প্রথমে আমরা গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে ভাবলেও সকালে পুকুরের পাড়ে একটি বিষের বোতল পড়ে থাকতে দেখি। পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আব্দুল হাকিমের পুত্র শহিদুজ্জামান শিমুল বলেন প্রায় ০৭ শতক জায়গার উপর পুকুরে করে দীর্ঘ দিন যাবত ঘেরের চারা মাছ এই পুকুরে রেখে বড় করে ঘেরে ছাড়া হয়।
এ ঘটনায় থানায় আব্দুল হাকিমের পুত্র শহীদুজ্জামান শিমুল বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছে।