সাতক্ষীরায় একদিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু :জেলায় সংক্রমন হার সর্বনিম্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় ৪র্থ দফার সাত দিনের লকডাউনের ২য় দিনে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে অনেকটাই।গত ৫ই জুন লকডাউন শুরু থেকে আজ সংক্রমনের হার সবচেয়ে কম।মাত্র ২৭.০৪শতাংশ ।তবে বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৯ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ২৭.০৪শতাংশ।এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২শ ৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ২শ ৭৮ জন।
বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রুগীর সংখ্যা ৮ শ ৬৪জন।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৮১ জন এদের মধ্যে ২৭জনের করোনা পজেটিভ। ২জন আইসিইউ তে আছে। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১৩৪ জনের মধ্যে ১৪জন পজেটিভ।আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩শ ১৩জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা জায়নি । জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্য বরণ করেছে ৬৬ জন।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের ৪র্থ দফা ঘোষিত লকডাউনের ২য় দিন চলছে।তবে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।জেলাপ্রশাসন থেকে বিভিন্ন স্থানে লকডাউনে সচেতনতা মূলক প্রচার ও জরিমানা করলেও মানুষের মধ্যে কোন সচেতনতা নাই।শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশের চেক পোষ্ট বসালেও মানুষের যাতায়াত ছিলো স্বাভাবিক।
অন্যদিকে লকডাউন কার্যকর করতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিকেও সক্রিয় করা করার কথা হলে ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কোথাও দেখা যায়নি।
স্থানীয় ডাক্তার কিংকর কুমার মন্ডল বলেন,অসচেতনার জন্য মানুষ ঘরমুখী হচ্ছে না।মাস্ক পড়ছে কম। সাথে সাথে দাতা সংস্থাগুলি নিম্ন আয়ের মানুষের যদি সহযোগিতা করতো তাহলে লকডাউন আরো কার্যকর হতো।
সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়েছে।তবে রুগির চাপ থাকায় ছিট সংকট ও জনমল সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা:হুসাইন শাফায়াত।