সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের ঘোষণা আসতে পারে
নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রকোপ বাড়ায় সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় আলোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশে বলা হয়, শাটডাউন চলা অবস্থায় জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেনো, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় বলা হয়, করোনার বিশেষ ডেল্টা ধরন সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। দেশে এরই মধ্যে তার প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ ও পঞ্চাশোর্ধ জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সভায় আরো বলা হয়, রোগ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ডভাবে গৃহীত কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এ ধরনের বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত অনুযায়ী যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ৫০ এর বেশি জেলায় ডেল্টা ধরন সংক্রমণ অত্যন্ত বেড়ে গেছে। আর এ সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণের পাশাপাশি বেড়ে গেছে হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হারও।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি ভারতের বিপর্যস্ত অবস্থার কথা চিন্তা করি, সেখান থেকে তারা কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে।