সাতক্ষীরায় একদিনে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৯:৪র্থ দফা লকডাউনের আজ প্রথম দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় ৪র্থ দফার লকডাউনের প্রথম দিন আজ।লকডাউন চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।বিভিন্ন অযুহাতে মানুষ বাহিরে আসছে।মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব।অনেকের মুখে নেই মাক্স।প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দোকান পাটের সাথে সাথে খোলা রয়েছে সব ধরণের দোকান পাট।তবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে পুলিশের চেকপোষ্ট।
দোকান পাট না খুললে খাওয়া হবে না এমনটাই দাবী স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।সাথে সাথে রোজগার না করলে দিন চলবেনা বলে জানিয়েছেন ভ্যান চালকরা।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৮ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৩০.৩৮ শতাংশ।এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১শ ৬৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ২শ ২৯ জন।
বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রুগীর সংখ্যা ৮ শ ৭০জন।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৭০ জন এদের মধ্যে ২৬ জনের করোনা পজেটিভ। ৪ জন আইসিইউ তে আছে। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১১৯ জনের মধ্যে ১৮ জন পজেটিভ।আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭শ ৫৩ টি।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩শ ৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ জন । জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্য বরণ করেছে ৬৬ জন।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের ৪র্থ দফা ঘোষিত লকডাউনের আজ প্রথম দিন। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলায় ৪র্থ মেয়াদে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাই এর এক তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। লকডাউন কার্যকরি করতে ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিকেও সক্রিয় করা হবে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে জোর তদারকি করা হবে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
তিনি আরো বলেন,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রুগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া জেলায় প্রতিদিন করোনা রুগী বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সমস্থ বিষয় বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ মে থেকে জেলায় প্রথম পর্যায়ে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়। এরপর ১১ মে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭ মে ৩য় পর্যায়ে ২৪ মে পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।