সাংবাদিকদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
গণমাধ্যমকর্মীদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এটি অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া উভয় ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কর্মস্থলে চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন। এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। তাদের চাকরির এ অনিশ্চয়তা দূর করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন প্রণয়ন করছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের আবাসনের জন্যও বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকার দেশের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে নানা সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় গুরুতর আহত সাংবাদিকদের দেশ-বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকেও সাংবাদিকদের জন্য অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। করোনায় প্রেস ক্লাবের আয় কমে যাওয়ায় মে মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সংবাদকর্মীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার ২০১৩ সালে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।