রোহিঙ্গা ডাকাতকে জাতীয় পরিচয়পত্র: সাবেক কাউন্সিলরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিউজ ডেস্ক:
জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম ওরফে নুরুকে জাতীয় পরিচয়পত্র পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দুদক সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। দুদক সমন্বিত কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলকে জাতীয় পরিচয় পেতে সহযোগিতা করেন চসিকের একজন সাবেক কাউন্সিলরসহ ছয়জন। প্রাথমিক তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– চসিকের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সরফরাজ কাদের রাসেল, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সহকারী মো. ফরহাদ হোসাইন, ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসের সাবেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও বর্তমানে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কর্মরত মোহাম্মদ শাহজামাল, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের প্রুফ রিডার উৎপল বড়ুয়া, একই অফিসের প্রুফ রিডার রন্তু বড়ুয়া ও সাবেক পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।
মামলার এজাহার বলা হয়, ২০১৬ সালে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন রোহিঙ্গা নুর আলম। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনি। নুর আলম ও তার স্ত্রী নূর কাইয়াস বেগম রোহিঙ্গা হওয়া সত্বেও চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সরফরাজ কাদের রাসেল ও জন্ম নিবন্ধন সহকারী মো. ফরহাদ হোসাইন তাদের জন্ম সনদ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসের তৎকালীন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোহাম্মদ শাহজামাল, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের প্রুফ রিডার উৎপল বড়ুয়া, একই অফিসের প্রুফ রিডার রন্তু বড়ুয়া ও সাবেক পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ নুর আলম ও তার স্ত্রী নূর কাইয়াস বেগমকে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করেন।