যশোরে গত একদিনে সর্বোচ্চ ২৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত
আঃ জলিল:
বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর বেনাপোলসহ সমগ্র যশোর জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।ঈদ পরবর্তীতে করোনার সংক্রমণ যে ঢাকা শহর থেকে ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশ করছে তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে গত কয়েক দিনের এলাকা ভিত্তিক সংক্রমনের গতি প্রকৃতি দেখে।আবার ভারতে করোনায় আক্রান্তের হার দেখে বিশেষজ্ঞগণ ধারণা করেছিলেন যে, যেহেতু বাংলাদেশের চারিপাশে ভারত যেভাবে জালের ন্যায় বিছিয়ে আছে ঠিক সেইভাবে সীমান্তবর্তী জেলা গুলোও এক সময় করোনার হটস্পট হতে পারে।
সীমান্তবর্তী ১৩ জেলার করোনা সংক্রমনের হার দেখে না বুঝার কোন কারণ নেই যে বিশেষজ্ঞদের ধারণা শত সিদ্ধ হচ্ছে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী যশোর জেলার সাথে ভারতের সীমান্ত সংযোগসহ বেনাপোল স্থল বন্দর থাকায় দুই দেশের জনচলাচল করোনাকালীন সময়ে অবাধ না থাকলে কিছুটা চালু ছিল এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী শত শত নাগরিক যশোর হয়েই দেশে ফিরেছেন। ফলে করোনার অতি ছোঁয়াচে ভারতীয় ধরণ ডেল্টা নিজেদের অজান্তেই শরীরে প্রবেশ করেছে।
১৬ জুন-২০২১ রোজ বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের যে তথ্য যশোর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজেস্ট্রেট দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। যা এই জেলায় একদিনে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
আক্রান্ত ২৪৯ জনের মধ্যে ১৫ জন রয়েছেন যারা সম্প্রতি ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করছেন। আক্রান্তের হার ৪৭.১৫ শতাংশ। এছাড়া আজ মারা গেছেন ৩ জন।মৃত বরণকৃতদের মধ্যে ১ জন করোনা রোগী ও অপর ২ জন করোনার উপসর্গযুক্ত।আজকের ৩ জনসহ গত কয়েকদিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জন মৃত্যু বরণ করেছেন।
অতিমাত্রায় ঝুঁকির কারণে যশোরের দুটি পৌরসভাসহ নতুন করে উপশহর,নওয়াপাড়া ইউনিয়ন, চাচড়া,ঝিকরগাছা পৌরসভা ও বেনাপোল বাজার এলাকায় গতকাল থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মাস্ক ব্যবহার,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম এড়িয়ে চলাসহ কার্যকর লকডাউন মেনে চলার প্রতি অনীহাই যশোর জেলায় করোনার অতি সংক্রমনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
Please follow and like us: