শেষ ম্যাচ জিতে দেশের মান বাঁচালো শ্রীলংকা

খেলাধুলা ডেস্কঃ

সনাৎ জয়সুরিয়া একদিন আগেই বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে যেন দেশের মান রক্ষা করে শ্রীলংকা। তার কথা রেখেছে লংকানরা। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৯৭ রানে হারিয়েছে তারা।

শ্রীলংকার দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ১৮৯ রানে। আগেই দুই ম্যাচ জয়ের ফলে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।

রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ। আগের দুই ওয়ানডেতে লিটন দাস ভালো না করায় এ ম্যাচে একাদশে ঢোকেন নাঈম। তবে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। করেন মাত্র ১ রান।

ব্যাট হাতে রানখরায় ভুগতে থাকা সাকিব এ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন। চামিরার বলে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে চার রান। ফলে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।

এমতাবস্থায় তামিমের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। ধীর গতিতে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা  করতে থাকেন দুজন। এরই মাঝে দশম ওভারে বিতর্কিতভাবে আউট হন তামিম।

চামিরার করা স্লোয়ার ডেলিভারি তামিমের ব্যাটে লেগে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে জমা হয়। আউটের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ নেন তামিম। এ সময় রিপ্লেতে দেখা যায় তার ব্যাট একই সময়ে মাটিতে লাগার পাশাপাশি বলেও স্পর্শ করেছে।

তবে বল আসলেই তামিমের ব্যাটে লেগেছে কি না সেটা স্নিকো থেকেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় অন ফিল্ড আম্পায়ারের কল অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিনায়ককে আউট দেয়া হয়। এমন সিদ্ধান্ত যেন মানতেই পারছিলেন না ১৭ রান করা তামিম। অনেকটা রাগ দেখিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার।

শুরুতেই তিন উইকেট পড়ার পর মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। রান বাড়ানোর চেষ্টায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে অভিষিক্ত রমেশ মেন্ডিসের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ রান করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি পূরণ করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে এরপরই ৫১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর আফিফ হোসেন ১৬ রান করলেও খাতা খুলতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ।

শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাই যুদ্ধ করে যান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে শেষে ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। লংকানদের হয়ে দুশমন্থ চামিরা একাই ৫ উইকেট শিকার করেন।

এর আগে কুশল পেরেরার সেঞ্চুরি ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার হাফ সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ শিকার করেন চার উইকেট।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)