ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় শ্যামনগরে প্রস্তুতি সভা
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিশেষ প্রস্তুতিমুলক সভা আজ সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হকের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উপজেলার
বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাউবো’র প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, আনছার ভিডিপি ও স্বাস্থ্য বিভাগ, এনজিও সমন্বয় পরিষদ, সংবাদকর্মীসহ বিশিষ্টজনেরা সভায় অংশ নেয়।
সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর তান্ডবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য উপকূলীয় এলাকা থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই মানুষ
ও তাদের পোষ্য জীব-জন্তুকে সরিয়ে আনার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার পানিসহ রান্না করা ও শুকনা খাবারসহ শিশু খাদ্য পৌছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনায় স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠনের
সিদ্ধান্ত হয়। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা তার কোন চিকিৎসক প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত না থাকায় উপজেলায় কয়টি মেডিকেল টিম আর কতজন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী দায়িত্ব পালন করবে তা জানা যায়নি। সভা শেষে উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে মোকাবেলার শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মানুষকে তাৎক্ষনিকভাবে এসব সাইক্লোন
শেল্টারে সরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
দুর্যোগকালীন সময়ে জনসাধারনকে সাইক্লোন শেল্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে
সিপিপির আঠাশ শত ও সিডিইও এর সাড়ে ছয়শত স্বেচ্ছাসেবক তৈরী রয়েছে। তিনি আরও জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে সাইক্লোন
শেল্টারসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের পাশাপাশি রান্না ও শুকনা খাবারসহ শিশু খাদ্য পৌছানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরাসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বাস ও ইঞ্জিন চালিত নৌকার ব্যবস্থা করা
হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের পাশাপাশি ১০টি সাইক্লোন শেল্টারের জন্য একজন করে সরকারি কর্মকর্তাকে নিযুক্ত হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে ইউপি সদস্য,
আনছার ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে তদারকি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে ইতিমধ্যে নদীকে অধিক জোয়ারের বিষয়টি
মাথায় রেখে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিঁচু উপকূল রক্ষা বাঁধের উপর মাটির দেয়ার কাজ শুরু করেছে। বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে ‘ইয়াস’ পরবর্তী পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলার জন্য। ইতিমধ্যে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা উপকূলীয় এলাকায় পৌছেছে।