আওয়ামীলীগ নেতাকে ডাকাত সন্দেহে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আসাদুজ্জামানঃ
সাতক্ষীরার কুশখালীর ইউপি সদস্য মতলেবুর রহমান টুটুল কর্তৃক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাকে ডাকাত সন্দেহে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা
চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর
উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর সানাপাড়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের
ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী
আমিনুল ইসলাম মন্টু।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত কয়েক বছর পুর্বে কুলিয়া বহেরা এলাকার আবুল
কাশেম মাস্টারের কন্যা খুকু মনি মিটলাইফ এলিকো বীমা কোম্পানিতে চাকুরি করত।
সে সময় তার অনুরোধে আমি তার কাছে ৬০ হাজার টাকার একটি পলিসি শুরু করি।
কিন্তু ৬০ হাজার একটি কিস্তি নেওয়ার পর ওই খুকুমনি আর আমার কাছে আসেননি
এবং তাকে খুঁজেও পাইনি। এক পর্যায়ে গত ১৯ মে ২০২১ তারিখে সন্ধ্যার দিকে
খুকুমনি তার স্বামীর বাড়ি শিকড়ী কুশখালীতে যান। এ সময় আমি সুমন সরকার
নামের এক যুবককে নিয়ে ওই বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্রই সেখানকার মানুষ আমাদের
সন্দেহজনকভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। তাদের সাথে কথাকাটাকাটির
একপর্যায়ে তারা কুশখালী ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মতলেবুর রহমান টুটুলকে
ডাকেন। ইউপি সদস্য সেখানে পৌছেই আমাদের কোন কথা না শুনেই তার লোকজন
দিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ও ট্রাউজারের পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা
ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাছের সাথে বেধে লাঠি ও জি আই পাইপ দিয়ে আমার বাম
হাতে, দুই পায়ে, হাটুর মালাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
আমার সাথে থাকা সুমন সরকারকেও তারা বেধড়ক মারপিট করেন। এ সময় ইউপি
সদস্যের কাছে বার বার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি তা না শুনে আমাকে মারপিট
করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমাকে ইউপি সদস্য বলে “যেটি আমি বলতে বলবো,
সেটি বলবে, তাহলে তোকে ছেড়ে দিবো” এই বলে কয়েকটি মোবাইল ফোনের
ভিডিও অন করে আমি তাদের মারপিটের হাত থেকে রক্ষা পেতে তার শেখানো কথা গুলো
বলি। কিন্তু কথাগুলো রেকর্ডের পর ইউপি সদস্য আমাকে না ছেড়ে উল্টো ১লক্ষ টাকা
চাঁদা দাবি করে বলেন, “টাকা না দিলে ওই ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকসহ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকাত উল্লেখ করে ছড়িয়ে দেবো”। পরে রাত দুইটার দিকে সদর
থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে আলীপুর ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: মহিয়ুর রহমান ময়ূর ডাক্তারের জিম্মায় আমাকে ছেড়ে
দেন। পরে আমি গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। বর্তমানে
আমার দুই পা মারাত্মকভাবে জখম অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইউপি সদস্য টুটুল টাকা না দেওয়ায় ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে
আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছেন। অথচ আমি
এধরনের কোন কাজের সাথে জড়িত নই। আমি একজন আওয়ামীলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী।
আমাকে মিথ্যা অপবাদ ও মারপিট করেই তিনি ক্ষ্যান্ত হননি বরং আমার মান সম্মানহানিসহ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন এই ইউপি সদস্য । সংবাদ সম্মেলন
থেকে তিনি (মন্টু) এ সময় এ ঘটনায় জড়িত ইউপি সদস্য মতলেবুর রহমান টুটুলসহ
তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ ঘটনার
তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।