দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন আম্ফান দিবসে নাগরিক সংলাপে উপকূলীয় প্রতিনিধিরা

শ্যামনগর প্রতিনিধি:

আম্ফান দিবসে নাগরিক সংলাপে উপকূলীয় প্রতিনিধিরা দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।২০ মে ২০২০ সালের এই দিনে সুপার সাইক্লোন আম্ফান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে। ফলে উপকূলে অভাবনীয় ক্ষতি হয় এবং মানুষের জীবনে তকতকে ক্ষতের সৃষ্টি করে। এক বছর পেরুলেও সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারিনি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষ।

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, সচেতন সংস্থা ও পার্লামেন্ট নিউজ বিডি এর আয়োজনে অনলাইন সংলাপে প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ এর সস্মানিত সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র্র।

আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় তেল, গ্যাস ও পানি আন্দোলনের জাতীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, পাইকগাছা উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, এ্যাড. শামীমা সুলতানা শীলু, নাগরিক কমিটির জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত, আবুল কালাম আজাদ, নিত্যানন্দ সরকার সহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পরিবেশ কর্মী, উন্নয়ন কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রতিনিধিগণ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোর তালিকা তুলে ধরে ‘দূর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের সুরক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবী জানান।

প্রধান অতিথি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “৬০ এর দশকে নির্মিত বাঁধগুলো ফসল চাষের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এসব বাঁধ দেখভালের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ড এর এবং সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ের। বাঁধ ব্যবস্থাপনার অভাবে এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারনে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধানের জন্য সস্মীলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবী করেন।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে গত বছর সুপার সাইক্লোন আম্ফান উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এরপর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়নি। শতাধিক পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই ঝড়ো মৌসুমকে সামনে রেখে চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ওই অঞ্চলের জনগণ। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)