সাতক্ষীরায় পৈত্রিক ২৫ বিঘাসহ ডিডের ৮৯ বিঘা সম্পত্তি উদ্ধার ও জান-মালের নিরাপত্তার দাবিতে এক ব্যবসায়ির সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের হাত থেকে পৈত্রিক ও ডিডকৃত মাছের ঘের উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ি। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আশাশুনি উপজেলার কোলা গ্রামের মৃত. আব্দুল অহেদ মোল্যার ছেলে ঘের ব্যবসায়ি মোঃ আমজাদ হোসেন এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনির কোলা মৌজায় সীট নং-১, জে এল নং- ১২১ এক প্লটে ৭৪০ বিঘা জমিতে মাছের ঘের পরিচালনা করতেন বসির আহমেদ।
২০১৯ সালে বসির আহমেদের মৃত্যুর পর ২০২০ সালে উক্ত ৭৪০ বিঘা সম্পত্তির মালিক ও আমিসহ একত্রে ৫ জনের নেতৃত্বে উক্ত ঘের পরিচালনা করি। কিন্তু ঘের পরিচালনায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হলে আমার পৈত্রিক ২৫ বিঘা এবং ২০২০ হতে ২৪ সাল পর্যন্ত ৫ সন মেয়াদী লীজ ডিডকৃত ৮৯ বিঘাসহ মোট ১১৪ বিঘা সম্পত্তি আলাদা করে নিয়ে এককভাবে মাছের ঘের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেই।
কিন্তু ওই এলাকার মৃত আহম্মেদ হোসেনের ছেলে মির্জা কামরুজ্জামান, মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আশরাফ আলী গাজী, মৃত আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে নাজির আলম গং অবৈধ লাভের বশবর্তী হয়ে আমার পৈত্রিক ২৫ বিঘা এবং ডিডকৃত ৮৯ বিঘা সম্পত্তি ভাগ করে না দিয়ে জোরপূর্বক দখলে রাখার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি সরেজমিনে দেখে উত্তর পাশ থেকে আমার সম্পত্তি দেওয়ার জন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের মৌখিক ভাবে বলেন।
কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথা না শুনে এবং আমার বাধা নিষেধ উপেক্ষা গত ২৭ মার্চ বিকাল ৪ টার দিকে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়া ভেকু মেশিন দিয়া আমার জন্য ২৫ বিঘার মত সম্পত্তি রেখে বাকী ৮৯ বিঘা সম্পত্তিসহ মৎস্য ঘেরে আলাদা আলাদা ভেড়ী বাঁধ দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। কামরুজ্জামান গংরা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে অবৈধ ভাবে আমার পৈত্রিক ২৫ বিঘাসহ ডিডকৃত ৮৯ বিঘা জমি জবর দখল করে রেখেছে। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম মৎস্যঘের অবৈধভাবে দখল করে রাখায় আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও তাদের কবল থেকে মৎস্যঘের উদ্ধার করতে পারিনি।
তিনি অভিয়োগ করে বলেন, উল্লেখিত মির্জা কামরুজ্জামান, আশরাফ আলী গাজী ও নাজির আলম প্রত্যেকই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। এদের মধ্যে মির্জা কামরুজ্জামান জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডার হওয়ায় ২০১৩ সালে র্যাব তাকে আটক করে। পরে জামিন পেয়ে এলাকায় ফের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করাসহ এলাকায় বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড শুরু করে। জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি ও মৎস্যঘের দখলসহ নানা অপকর্ম করছে মির্জা কামরুজ্জামান গং। অত্যান্ত হিংস্র প্রকৃতির হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে তারা আমার জান মালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। তিনি উল্লেখিত কামরুজ্জামান গং এর কবল থেকে নিজের পৈত্রিক ২৫ বিঘা এবং ডিড নেয়া ৮৯ বিঘা সম্পত্তি উদ্ধারপূর্বক জান ও মালের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।