আশাশুনিতে বাদপড়াদের তালিকাভুক্ত ও খাদ্য সহায়তার দাবী মৎস্যজীবিদের
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনিতে মৎস্যজীবিদের তালিকা হালনাগাদ করণ, চলমান সমুদ্রগামী তালিকায় বাদ পড়াদের তারিকাভুক্ত করণ ও খাদ্য সহায়তা অব্যহত রাখার দাবীতে জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) বেলা ১১ টায় আশাশুনি প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতি সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লি. এর সাধারণ সম্পাদক শিবুপদ ম-ল লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ক্রমাগত ঘূর্ণিঝড়, প্লাবন এবং সামাজিক শ্রেণিগত শোষণ ব নার শিকার আশাশুনির বেকার ভূমিহীন জনগোষ্ঠির একটি বড় অংশ বাধ্য হয়ে মৎস্য আহরণ ও বিক্রয় পেশার সাথে জড়িত। ২০১২-১৩ সালে উপজেলার মোট ৭৫২০ জন মৎস্যজীবিদের তালিকাভূক্ত করে জেলে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। এরমধ্যে অনেকেই মারা গেছেন বা অন্য পেশায় যোগদান করেছেন। আবার নতুন অনেকেই এ পেশায় সংযুক্ত হয়েছেন। সরকারীভাবে মে মাসে সাগর সংলগ্ন নদ-নদীতে মাছ ধরা নিষেধ। তাই বিগত কয়েক বছর মে-জুন মাসে এসব কার্ডধারী জেলেদের দুই কিস্তিতে বরাদ্দ অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত বছর উক্ত তালিকা হালনাগাদ করার সরকারী নির্দেশনা ছিলো। তৎকালীন ইউএনও মীর আলিফ রেজা সকল ইউনিয়নে নিবন্ধিত মৎস্যজীবিদের যাচাই বাছাই পূর্বক প্রকৃত মৎস্যজীবি তালিকা প্রণয়নের জন্য ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ প্রদান করেন। কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও অজ্ঞাত কারণে তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি।
অথচ যথাযথ যাচাই বাছাই ছাড়াই জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য সাগরগামী ১১৬৫ জনের একটি তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই তালিকায় অধিকাংশ মানুষের জেলে কার্ডই নেই। বরং যাদের জেলে কার্ড আছে, যারা সাগরে মাছ ধরতে যান এমনদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। যার মধ্যে খাজরার ১৪ জনের মধে ১১ জনের জেলে কার্ড নেই বা তারা কোন দিন সাগরে মাছ ধরতে যায়না। কুল্যা ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত ৩ জনের ১ জনের কার্ড নেই। প্রকৃত অর্থে উপজেলায় সমুদ্রগামী ও সমুদ্র অববাহিকায় নদ-নদীতে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের সংখ্যা ৪ হাজারের কম হবে না। জেলেদের আইডি কার্ড হালনাগাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। মৎস্য অধিদপ্তরের গাফিলতির কারণে এই বিপুল সংখ্যক হতদরিদ্র মানুষ সরকারী সহায়তা থেকে বি ত হতে চলেছে দাবী করে অবিলম্বে চলমান সমুদ্রগামী তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বাদ পড়া মৎস্যজীবিদের তালিকাভূক্ত করণ ও তাদের চলমান খাদ্য সহায়তা অব্যহত রাখার জোর দাবী জানান হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির আশাশুনি উপজেলা শাখার সভাপতি অনিল কৃষ্ণ ম-ল, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের তালিকা থেকে বাদ পড়া ও সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সন্তোষ, সাধন মল্লিক, গোবিন্দ মন্ডল, মুখন্দ মন্ডল, নিমাই চাঁদ মন্ডলসহ শতাধিক মৎস্যজীবি।