ভারতে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় টাউকটে
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
প্রবল শক্তি নিয়ে ভারতে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘টাউকটে’। এরই মধ্যে গুজরাট উপকূলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের পুণে এবং নাসিকে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। আগামী ৩ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের পুণে এবং নাসিকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ সোমবার রাত থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে অতি শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমানে মুম্বাই উপকূলের ২০০ কিলোমিটার দূরে বয়ে যাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হওয়ার কথা।
শক্তিশালী ‘টাউকটে’ নামটি মিয়ানমারের দেয়া। এর অর্থ হল অতি উচ্চ স্বরযুক্ত টিকটিকি।
চলতি বছরে ভারতে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এর তীব্রতা গত বছরের সুপার সাইক্লোন আমফানের মতো হবে কিনা তা জানা যায়নি। চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে কেরালাসহ বিভিন্ন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় কেরালায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, কেরালা, কর্ণাটক ও গোয়ার উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে উপকূলের বাসিন্দাদের। জরুরি সহায়তার জন্য খোলা হয়েছে কয়েকশ’ অস্থায়ী শিবির।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ৫০টিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিমান বাহিনীর ১৬টি বিমান ও ১৮টি হেলিকপ্টার। এছাড়া, বাড়তি সতর্কতার জন্য নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।