দেবহাটায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটে বাবা-ছেলে জখম
দেবহাটা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার দেবহাটায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে রাজু আহমেদ (৪৫) ও মুশফিকুর রহমান (২৫) নামের দুই বাবা-ছেলে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পারুলিয়াস্থ ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনাটি ঘটে। মারপিটে আহত রাজু আহমেদ পারুলিয়ার মৃত আব্বাস আলী গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমান সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার মুল দায়িত্বে রয়েছেন হেফাজত নেতা আব্দুস সবুর। তিনি ওই কওমি মাদ্রাসায় নামমাত্র এতিমখানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুদের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে ডোনেশন সংগ্রহ ও আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়াও বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার প্রধান আব্দুস সবুর মসজিদের বাইরে খোলা স্থানে ঈদের নামাজের আয়োজন করেন। এছাড়া সেখানে যে মাইকের ব্যবস্থা ছিল তাও জরাজীর্ন ও প্রায় অকার্যকর থাকায় ওই নামাজে অংশ নিতে গিয়ে তার ভাই আহত রাজু আহমেদ প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন হেফাজত নেতা আব্দুস সবুর। নামাজ শেষে আব্দুস সবুরের নির্দেশে দক্ষিন পারুলিয়ার আব্দুস সামাদের তিন ছেলে সাদ্দাম, শহিদুল, আসাদুল, সামাদের ভাই আব্দুর রহিম ও তার ছেলে রাকিবসহ হেফাজত নেতা আব্দুস সবুরের বেশ কয়েকজন সমর্থক রাজু আহমেদের সাথে বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা রাজু আহমেদ ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমানকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের খোঁজ খবর নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।