চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলার হয়রানিঃ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউপি নির্বাচনে
চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কুশখালী গ্রামের মৃত আয়নাল ঢালীর পুত্র রবিউল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আনুমানিক ১০/ ১১ বছর পূর্বে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সবুরের কন্যা মারুফা খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমার স্ত্রী গোপনে একাধিক পুরুষের
সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আমার স্ত্রী কুশখালী গ্রামের মৃত. দাউদ সরদারের পুত্র জিয়াউলের সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের সুত্রে চলে যায়। অনের খোজাখুজির একপর্যায়ে জিয়াউলের সাথে চলে যাওয়ায় বিষয়টি অবগত হয়ে গত ২৯ নভেম্বর‘২০ তারিখে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করি। তালাকের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে
সাবেক স্ত্রী সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করে। সেখানে তালাকের বিষয়টি অবহিত করি। এরপর থেকে মারুফা খাতুনের সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই। জিয়াউল শুধু আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়নি কুশখালী গ্রামের একাধিক সংসার ভেঙেছে। কুশখালী গ্রামের পলাশের স্ত্রীর সাথেও জিয়াউলের অবৈধ সম্পর্ক  ছিলো। এঘটনায় পলাশ সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। তিনি আরো বলেন আসন্ন কুশখালী ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার দিয়েছেন গোলাম মোস্তফা বাবু।

এতে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বাবুকে প্রতিদ্ব›িদ্ব ভেবে তাকে
নানানভাবে হয়রানির চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে
বাবুকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যামল।

এঘটনায় বাবু সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং- ১৩২৮, তাং
২৮/০৪/২০২১। এতে শ্যামল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যাওয়া জিয়াউলের সহযোগিতায় আমার সাবেক স্ত্রীকে দিয়ে আদালতে ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করে। যার নং২৩১/২১। সেখানে গোলাম মোস্তফা বাবুকে
প্রধান আসামী এবং আমাকে ২নং আসামী করা হয়েছে। মামলার ১নং স্বাক্ষী হয়েছেন চেয়ারম্যান শ্যামল, তার সহযোগী ইউপি সদস্য লিয়াকত
আলী বাবু, ইউছুপসহ চেয়ারম্যানের লোকজন। অথচ এধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। শুধু মাত্র গোলাম মোস্তফা বাবু চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তাকে হয়রানি করতে এধনের মিথ্যা মামলায় তাকে জড়িয়েছে। এছাড়া জিয়াউলের সাথে চলে যাওয়ায় তালাক দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাবেক স্ত্রী আমাকে আসামী করেছেন। শুধু তাই নয় আদালত থেকে তদন্ত নিয়েছেন কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদে। তিনি উক্ত মামলার বিষয়ে জুডিশিয়ালীসহ তদন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)