মানছে না স্বাস্থ্যবিধি:আজ থেকে দিনে চলবে না ফেরি
নিউজ ডেস্ক:
ঈদের আর সপ্তাহখানেক বাকি। তাই লকডাউন উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছিল মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। মানা হচ্ছিল না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
তাই করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
দিনে বন্ধ থাকলেও রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে এ রুটে বাড়তে থাকে মানুষ ও যানবাহনের ভিড়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরো বেড়ে যায়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ছয়টি ছোট ফেরির পাশাপাশি চারটি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। সরকারে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও অন্যদিকে সামনে ঈদ থাকায় যাত্রী এবং যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও ভাড়া যানবাহনে ঘাট এলাকায় জড়ো হন লাখো মানুষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেক চাপ বেড়ে যায়। ফেরিতে বিঘ্নিত হচ্ছে গাড়ি পারাপার। এতে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী সহস্রাধিক যানবাহন। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, সকাল থেকেই ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন অপেক্ষা করছে। লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপে গাড়ি পারাপারে সমস্যা হচ্ছে।