জামাত-বিএনপির মিটিং:তালায় মরিয়া হয়ে উঠেছে মসজিদ কমিটি নেয়ায়

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধ্য আটারই  গ্রামে শেখ ও মোড়ল পাড়া জামে  মসজিদ এ অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরণে  জানা যায় যে, পূর্বে বিভিন্ন সময়ে জামাত-বিএনপি’র লোকেরা এই মসজিদে রাজনৈতিক ভাবে মিটিং করত এবং  এই মসজিদ টি গ্রামের মধ্যে নির্জন জায়গায় থাকার জন্য রাজনৈতিক ভাবে যেকোনো মিটিং করতে এখানে অনেক সুবিধা হয়। কিন্তু এই মসজিদে বর্তমান কমিটি বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের লোক থাকার কারণে পূর্বের মত মিটিং করতে  না পারা সহ সুবিধা মত মসজিদ ব্যবহার না করতে পারায় দীর্ঘদিন ধরে কমিটির সদস্যদের ওপর চড়াও ছিলো। অতি সম্প্রতি তাই কমিটি  নিজেদের দখলে আনার  জন্য মরিয়া হয়ে  উঠে। ফলস্বরূপ বর্তমানে মসজিদ কমিটির

বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি ও সহিংস আচরণ লক্ষ্যণীয় । এমনকি নামাজের সময়  মসজিদের ভিতর হাতাহাতির ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।  আটারই  গ্রামের জামাল শেখ জানান যে।

গত শনিবার  (০১ এপ্রিল) দারুস সালাম জামে মসজিদে একটি  গোপন সূত্রের জামাত-বিএনপি’র লোক মিটিং করেন এবং সেই মিটিংয়ে উল্লেখ করেন যে , আমাদের ওই মসজিদে মিটিং করতে অনেক সুবিধা হয় আমাদের যেকোন মূল্যেই হোক না কেন ওই মসজিদের কমিটি আমাদের জামাত-বিএনপির দখলে  নিতে হবে। আওয়ামী লীগের লোকজন ওই মসজিদে না থাকে এবং ওই মসজিদে কমিটি নেওয়ার জন্য যত হামলা মামলা হলে যত টাকা লাগে আমাদের সংগঠন থেকে সব বহন করবে। তোমরা সেই ব্যবস্থা করো।

তিনি  আরো বলেন  যে বাইরের অতিথির নিয়ে এবং আমাদের  গ্রামের, সাহিদ মোড়ল( ৪০) পিতা  হোচেন  আলী  মোড়ল, আবু বক্কর সরদার,(৫৫) পিতা মৃত  শহর আলী  সরদার,

রিয়াজুল ইসলাম শেখ (৬০) পিতা মৃত ফজর আলী,নজরুল সরদার  (৬৫) পিতা মৃত তোফাজ্জেল  সরদার, প্রমুখ নিয়ে মিটিং করেন ।

এই  বিষয়ে  মসজিদ  কমিটির  সাধারণ  সম্পাদক আব্দুল  বারিক  মোড়ল  বলেন  যে, ওদের মিটিং করার বিষয়টি সত্য আমি জেনেছি এবং দেখেছি একজনের বাড়ি দেভাটা, একজনের বাড়ি সাতক্ষীরা,ও  আশাশুনি এবং আমাদের গ্রামের কিছু লোক নিয়ে তাঁরা  মিটিং করছে। শুধু তাই নয় গত ২০১৪ সালে ০৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ও তারা ব্যাপক তাণ্ডব ও সহিংসতা  চালিয়েছিলো । এ কাজে  তারা মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ঘোষণা দিয়ে সবাই কে একতা বদ্ধ

করেছিলো সেদিন। এ চক্র আজও সক্রিয় শুধু তাই নয়, যে কোন মূল্যে হোক না কেন তারা এই মসজিদ কমিটি  পক্ষে নিতেও চাই।