চতুর্থ দিন শুরুতেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলংকা। জবাবে অল্প রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় চতুর্থ দিনের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে দুই দল। সকালবেলা শুরুতেই সাফল্য পেয়েছে টাইগাররা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। দিমুথ করুণারত্নে ২৪ ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা ১ রানে ব্যাট করছেন।
১৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলংকা। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। ফলও মেলে দ্রুত। তাইজুলের মিডল-লেগ স্ট্যাম্পে করা বলটি খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এর আগে ১২ রান করেছেন তিনি।
এর আগে তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানের জবাবে ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলো অনের লজ্জা দেয়ার সুযোগ থাকলেও তা করেনি শ্রীলংকা। বল হাতে টাইগারদের একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন প্রবীণ জয়বিক্রমা।
২৪২ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে আউট হন লাহিরু থিরিমান্নে (২)। মেহেদী মিরাজের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
এরপর তাইজুল ইসলামের প্রথম বলেই স্টেপ ডাউন করে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন ওশাডা ফার্নান্দো। তিনি করেন ১ রান। দিনের বাকিটা সময় আর কোনো উইকেট হারায়নি শ্রীলংকা।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। প্রথম টেস্টের মত এ ম্যাচেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তামিম। অন্যপ্রান্তে ধরে খেলে রান করতে মনোযোগী ছিলেন সাইফ।
দলের রান যখন ৬১, তখন ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি পূরন করেন তামিম। অর্ধশতকের পথে ৫৭ বল খেলেন দেশসেরা ওপেনার। দুজনের ব্যাটে যখন ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তারের পথে বাংলাদেশ, তখনই জয়বিক্রমার বলে স্লিপে ক্যাচ দেন সাইফ। এর আগে তিনি করেন ২৫ রান।
সাইফের জায়গায় নেমে দলের হতাশা বাড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি টিকতে পারেন মাত্র ৪ বল। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগের বলে ক্যাচ আউট হন শান্ত। যা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাক টু ব্যাক ডাক। এরপর তামিম-মুমিনুল মিলে দলের স্কোর দেড়শোর কোঠা পার করেন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ করে আউট হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় টেস্টে সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। এবার সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। জয়বিক্রমার বলে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তামিম।
এরপর দ্বিতীয় সেশনের বাকিটা সময় দারুণ খেলতে থাকেন মুশফিক-মুমিনুল জুটি। দুজনের ব্যাটে দলের রান দুশো ছাড়ায়। চা বিরতির আগে শেষ ওভারেই বিপত্তি বাধান মুশি। জয়বিক্রমার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি। এর আগে করেন ৪০ রান।
দিনের শেষ সেশনে বিপদ আরো বাড়ে। অনভিজ্ঞ দুই লংকান স্পিনার জয়বিক্রমা ও রমেশ মেন্ডিসকে সামলাতে রীতিমতো ঘাম ঝড়েছে ব্যাটসম্যানদের। মেন্ডিসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল হক। এর আগে তিনি করেন ৪৯ রান।
জয়বিক্রমার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়া লিটন দাস ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজকে ১৬ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে অভিষেকেই ফাইফারের কীর্তি গড়েন জয়বিক্রমা। পঞ্চম লংকান বোলার হিসেবে এমন রেকর্ড করলেন এই স্পিনার।
তাসকিনকে নিজের ষষ্ঠ শিকার বানিয়ে অভিষেকে শ্রীলংকার সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েন জয়বিক্রমা। লাকমলের বলে হিট উইকেটের শিকার হয়ে তাইজুল আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।