শ্যালিকাকে প্রথমে দুলাভাই; ছিনিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করল আরো পাঁচজন
নিউজ ডেস্কঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রথমে দুলাভাইসহ দুজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এরপর দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করল আরো পাঁচজন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত খালাতো বোনের স্বামীসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
গ্রেফতাররা হলেন- ওই গৃহবধূর খালাতো বোনের স্বামী আলফাডাঙ্গা উপজেলার মো. মিন্টু মোল্যা, জয়দেবপুর গ্রামের হাসমত ফকির, বোয়ালমারী উপজেলার বনচাকি চরপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিন, মফিজুল মোল্যা, রাজু মোল্যা, রামদেবনগর গ্রামের শাহিন শেখ, সাইফুল ইসলাম ও চরসুখদেবনগর গ্রামের রিপুল মোল্যা।
জানা গেছে, বুধবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রামে খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান নড়াইল সদর উপজেলার ২৬ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ। কিন্তু অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন তার খালাতো বোন। এরপর তিনিও সেখানে খালাতো বোনসহ রোগীকে দেখতে যান। রাতে ওই নারীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দুলাভাই মিন্টু মোল্ল্যা।
পথে গৃহবধূকে ফুসলিয়ে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে মিন্টু মোল্যাসহ আরো দুজন ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে গিয়ে মিন্টুকে মারধর করেন ওই এলাকার আরো পাঁচজন। এরপর তারাও গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
নিজেকে বাঁচাতে শ্যালিকাকে নিয়ে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় যান দুলাভাই। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে দুলাভাই মিন্টু মোল্যার সম্পৃক্ততার তথ্যও বেরিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল খায়ের মিয়া বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। বিকেলে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারদের শুক্রবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হবে।