সার্জিক্যাল মাস্ক সম্পর্কে যা যা জানা উচিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রথম ধাপের চাইতেও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও কমার বদলে বেড়ে চলেছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবসময় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। কারণ অন্যান্য স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সচেতন নাগরিকরা ঘর থেকে বের হলেই সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন। কিন্তু কেবল সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করলেই হবে না। জানতে হবে এর সম্পর্কে জরুরি কিছু তথ্যও। যা আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে সহায়তা করবে।

ডা. সাকলায়েন রাসেল সার্জিক্যাল মাস্ক সম্পর্কে আমাদের যা যা জানা জরুরি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-

প্রশ্নঃ সার্জিক্যাল মাস্কের একদিন সাদা আর অন্যদিন নীল কেন?

উত্তরঃ বোঝার জন্যে কোন দিকটি ভেতরে আর কোন দিকটি বাইরে থাকবে।

সার্জিক্যাল মাস্কের ভেতরের দিক সাদা! এটা টিস্যু পেপারের মত। টিস্যু পেপার এর কাজেই হলো শুষে নেয়া বা এ্যাবজর্ব করা।

সার্জিক্যাল মাস্কের ভেতরের সাদা লেয়ার আপনার নাক বা মুখ থেকে জলীয় বাস্পসহ সমস্ত সিক্রেশন আটকে দেয়, শুষে নেয়। এমনকি আপনার কাছ থেকে বের হওয়া জীবাণু আটকে দিয়ে বাইরে যেতে দেয় না।

সার্জিক্যাল মাস্কের বাইরের নীল দিক পলিথিনের মত। পলিথিন কিছু আটকাতে দেয় না। পানি বা ময়লা লাগা মাত্রই পড়ে যায়। এটা পিচ্ছিল, কিছুই আটকায় না। নন স্টিকি। যাই এসে লাগুক, আটকাতে দেয় না।

প্রশ্নঃ তাহলে সার্জিক্যাল মাস্কের কোন অংশ ভেতরে, কোন অংশ বাইরে থাকবে?

উত্তরঃ নীল অংশ বাইরে, সাদা অংশ ভেতরে থাকবে। সব সময় এভাবেই পরতে হবে।

প্রশ্নঃ কত সময় একটা সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা যবে?

উত্তরঃ ছয় থেকে আট ঘন্টা।

প্রশ্নঃ সার্জিক্যাল মাস্ক কি ধুয়ে বা অন্যভাবে পরিস্কার করা যাবে?

উত্তরঃ না। একেবারেই না। এই মাস্ক ওয়ান টাইম ইউজ। মানে কেবলমাত্র একবারই ব্যাবহারযোগ্য।

প্রশ্নঃ দুইটা মাস্ক একসঙ্গে পরলে কি লাভ বেশি?

উত্তরঃ দুইটা একটার চাইতে ভালো। তবে তার চেয়ে ফিটিং ভালো হওয়া জরুরি। সার্জিক্যাল মাস্কের উপর একটা কাপড়ের মাস্ক পরে নিলে ফিটিংটা ভালো হয়।

প্রশ্নঃ গরীবের এন ৯৫ মাস্ক কাকে বলে?

উত্তরঃ সার্জিক্যাল মাস্কের উপর একটা কাপড়ের মাস্ক পরে নিলে প্রটেকশন বা সুরক্ষা ক্ষমতা প্রায় ৯৫ শতাংশ হয়ে যায়। সেজন্য এটাকেই গরীবের এন ৯৫ মাস্ক বলে।

প্রশ্নঃ আমি গরীব এতো সার্জিক্যাল মাস্ক কোথায় পাব?

উত্তরঃ অসুবিধা নাই। আপনি তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক পরবেন। এটা ধুয়ে ধুয়ে অনেকদিন পরবেন।

প্রশ্নঃ কাপড়ের মাস্কে লাভ হবে তো?

উত্তরঃ হবে কিছুটা।

প্রশ্নঃ সার্জিক্যাল মাস্ক নিয়ে অনেকে তো অনেক কথা বলে, কোনটা ঠিক?

উত্তরঃ আমি যা বলেছি এটাই ঠিক জেনে লিখেছি। এর স্বপক্ষে প্রমাণও আছে আমার কাছে। বাকী সিদ্ধান্ত আপনার।

সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যাপারে আমরা যে ভুলগুলো করে থাকি সেগুলো হচ্ছে-

>> আপনজন বা সহকর্মীদের সামনে মাস্ক খুলে বসে থাকা।

>> কারো সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্ক খুলে কথা বলা।

>> মাস্ক দিয়ে নাক মুখ না ঢেকে থুতনিতে মাস্ক রাখা।

নিজেকে সুরক্ষার সর্বোত্তম উপায় মাস্ক। নিজে পরুন, অন্যকে পরতে বলুন। না পরলে প্রতিবাদ করুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)