দেবহাটায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে দুই প্রতারককে গণধোলাই-অতঃপর ক্ষমা চেয়ে রেহাই
নিজস্ব প্রতিনিধি,দেবহাটা:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে ব্যবসায়ীদের হাতে ধরা পরবর্তী গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে নাজমুল হোসেন (৩০) ও রুবেল হোসেন (২৮) নামের দুই প্রতারক। বুধবার দুপুর ২টার দেবহাটার উপজেলার কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজিকালে প্রতারক নাজমুল ও রুবেলকে গণধোলাই দেয় ব্যবসায়ীরা।
গণধোলাইয়ের শিকার নাজমুল নিজেকে সাতক্ষীরার বাসিন্দা এবং রুবেল আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা উল্লেখ করে একাধিক ভুঁইফোড় ও নামসর্বস্ব পত্রিকার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি দাবী করেন।
তবে তাদের মধ্য থেকে রুবেলকে বড় ধরনের প্রতারক আখ্যায়িত করে আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, একসময়ে রুবেল ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভিজিডি সুবিধাভোগীদের অর্থ আত্মসাত, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ বহু অভিযোগ থাকায় ইতোপূর্বেই তাকে পরিষদ থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
সম্প্রতি সাতক্ষীরার নাজমুল নামের এক প্রতারকের সাথে মিশে চাকুরিচ্যুত রুবেল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আশাশুনি, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর সহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করছে এমন একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন বলেও জানান চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরী।
এদিকে কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডের স্থাণীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার দুপুরে নাজমুল, রুবেল ও তাদের আরেক সহযোগী মৎস্য সেডে ঢুকে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা টাকা চাঁদা দাবী করে।
ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ব্যবসায়ীদের সাথে দূর্ব্যবহার ও নিজেদের সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আষ্ফালন করতে থাকে। বাকবিতন্ডতার একপর্যায়ে সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের দুজনকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে খবর দেয়। পরে উত্তেজিত ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর সেডটির ইজারা গ্রহীতা ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যবসায়ীদের শান্ত করেন এবং অবরুদ্ধ প্রতারকদের ঘটনাস্থল থেকে বের করে দেন।