কেশবপুর হামজা ব্রিকসকে ভ্রাম্যমান আদালতে সিল,অমন্য করে গোপনে ভাটার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে 

নিজস্ব প্রতিনিধি,খুলনা:
কেশবপুর হামজা ব্রিকসের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গোপন আতাতের মাধ্যমে ভাটার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
 গতকাল (সোমবার ২৬-এপ্রিল)  কেশবপুর গৌরীঘোনা মেসার্স হামজা ব্রিকস এ যেয়ে ইট ভাটার কার্যক্রম সম্পুর্ণ চালু অবস্হায় দেখা গেছে। উচ্চ আদালতের মাহামান্য হাইকোর্টের দির্দেশে গত ৭/১/২০২১ তারিখে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা ঐ অবৈধ  ইট ভাটা মালিক কে  এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মেসার্স হামজা ব্রিকস অতি গোপনে সকল কর্যক্রম করে আসছে এমন খবর পেয়ে স্হানীয় সাংবাদিকগণ ঘটনা স্হলে উপস্হিত হলে দেখা যায় ভাটার কর্মচারীরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। এসময় ভাটার হাওয়া মেশিন চালুসহ চিপনিতে ধোয়া উড়তে দেখা যায়। এ বিষয়ে ভাটার মালিক হুমায়ূন কবীরের কাছে “সিলকরা ভাটা”  চালানোর কারণ জানতে চায়লে  তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান। এবং বলেন আপনার আমার এখানে আসছেন কেন। আপনাদের যা জানার আছে ইউএনও’র কাছ থেকে জানেন।  এমন ঘটনায় তাৎক্ষনাত সাংবাদিকদ্বয় কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেনের নিকট ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এমন ঘটনা ঘটলে আমি পুলিশ পাঠাচ্ছি।  পক্ষান্তরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ ইট ভাটা হামজা ব্রিকসের  ৫০ হাজার  টাকা জরিমানা করেছিল জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন আমি ভাটা বন্ধ করে দিয়ে ভাটার শ্রমিকদের মালামাল গুটিয়ে চলে যেতে বলে আসছিলাম। এরপরও যদি গোপনে আবার ভাটার চালায় তাহলে আবার ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য,  গত ৭/১/২০২১ তারিখে মাহামান্য হাইকোর্টের নিদর্শনায়  কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইরুফা সুলতানা ঐ অবৈধ  ইট ভাটা মালিক কে  এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঐ হামজা ব্রিকস এর মালিক হুমায়ন কবির তার সকল কার্যক্রম চলিয়ে আসছে।
এদিকে  জমির মালিক মহামান্য হাইকোর্টের রিট কারী শিমুল বিশ্বাসকে বৈধ কাগজ পত্র থাকা সত্বেও তাকে উক্ত জমিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং শিমুল বিশ্বাসকে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ আছে ।
দীর্ঘ দিন যাবৎ জমির মালিক শিমুল বিশ্বাস নিরুপায় হয়ে মহামান্য আদালত সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিচার দাখিল করে।
একজন অবৈধ ইট ভাটা মালিক তার বিভিন্ন ক্ষমতা অপব্যবহার করে জমির মালিক শিমুল বিশ্বাসকে হয়রানি করেই চলেছে হামজা ব্রিকসের মালিক হুমায়ুন কবির।
এদিকে ৪/৩/২১ তারিখে বাংলাদেশের মহামান্য আদালত সুপ্রিম কোর্টের ঐ অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশনায় মোতাবেক গত ২১ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টায় দিকে  কেশবপুর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন মহাদয়ের নির্দশে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ ইট ভাটা হামজা ব্রিকসের ম্যানেজার তপন চক্রবর্তীকে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে  ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ঐ অবৈধ  ইট ভাটার সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেন।
কিন্তু কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী আরাফাত হোসেন এবংসহকারী কমিশনার (ভুমি) ইরুফা সুলতানা নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার ২২ ই এপ্রিল  উক্ত অবৈধ ইট ভাটা র সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চো আদালত  সুপ্রিম কোর্টের আদেশ  তোয়াক্কা না করে ইট ভাটাটি পুর্বের ন্যায় সমস্ত কার্যক্রম  চালিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখে যে উক্ত ভাটায় কাজ করা শ্রমিকরা দৌড়ে পালাতে থাকে।
সাংবাদিকরাও তাদের পিছনে যেতে থাকে এক পর্যায়ে ইটভাটার কার্যক্রমের ভিডিও সাংবাদিক দের ক্যামেরায় ধারন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  বলেন, আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২১এপ্রিলে উক্ত ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করেছি, অবৈধ ইট ভাটা তে কোন রকম কার্যক্রম করতে পারবে সেই নির্দেশনা ও ইট ভাটা মালিকদের কে বলা হয়েছে।এর পরে যদি অবৈধ ইট ভাটা মালিক উক্ত ভাটার কার্যক্রম চলায় তাহালে আমরা পরবর্তী স্টেপ নিতে বাধ্য হবো।
সহকারী কমিশন ভুমি ইরুফা সুলতানা বলেন,উক্ত ইট ভাটা টি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার নির্দেশে আমি নিজেঐ  অবৈধ ইট ভাটা মালিক পক্ষে কে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছি এবং ভাটাটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের নির্দেশ অমান্য করে ভাটার কার্যক্রম পরিচালিত হলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)