করোনাভাইরাস: অনুমোদন পেতে যাচ্ছে রাশিয়ার টিকা
নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার করোনাভাইরাসের টিকা স্পুটনিক-ভি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে আজ মঙ্গলবার সভা ডেকেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে রাশিয়ার এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকবে না। এরই মধ্যে ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে রাশিয়ার স্পুটনিক টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশন।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সমঝোতা সই হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। গত ২২ এপ্রিল মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের ৫ নভেম্বর চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা রফতানি করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে আরও ২০ লাখ ডোজ এবং সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে ভারত থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ- অর্থাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকা এখনও দেশে আসেনি। এপ্রিল মাসে টিকা আসার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই।
স্বাস্থ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে এখন ৪৯ লাখের মতো টিকা মজুত রয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮১ ডোজ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া অব্যাহত থাকলে মজুত ফুরিয়ে যাবে আগামী একমাসের মধ্যে।