করোনায় আক্রান্ত বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব
বিনোদন ডেস্ক:
করোনায় আক্রান্ত বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় তার মেয়ে সঙ্গীত শিল্পী আঁখি আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আব্বু ভালো আছেন। চিন্তার কোনো কারণ নেই।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। গত রোববার (১৮ এপ্রিল) তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। এদিকে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর গুজবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধের টিকা নিয়েছিলেন নায়ক আলমগীর ও রুনা লায়লা। ১৭ এপ্রিল টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা। ১৮ এপ্রিল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে আলমগীরে শরীরে। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার শৈশব-যৌবন কেটেছে তেজগাঁয়। তার আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ১৯৭৩ সালে অভিনয়ে আসেন তিনি। গত প্রায় চার দশকে ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলমগীর। নির্মাণ করেছেন ৭টি সিনেমা।
কলেজ জীবনে নাটকের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হয়। তবে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন তিনি প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুমের নির্দেশনায় ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।
কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। পরবর্তীতে আরও আটবার একই পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশের সব নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’ (১৯৮৬)। বাচসাস’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি তিনবার। এছাড়া ‘উত্তম কুমার সম্মাননা’, ‘কালাকার অ্যাওয়ার্ড’,‘ বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড কমার্স এসোসিয়েসন অ্যাওয়ার্ড’-এর মতো আন্তর্জাতিক সম্মাননায়ও ভূষিত হন এই অভিনেতা।