ফেসবুকে বিচারক পরিচয়ে প্রেম করে তরুণীকে করলেন ধর্ষণ

নিউজ ডেস্ক:

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে গড়ে তোলেন বন্ধুত্ব। এরপর সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে করেন শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে উল্টো হুমকি দিতে থাকেন হামলা-মামলার।

কোনো উপায় না পেয়ে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিজিৎ বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার আশীষ কুমার ঘোষের ছেলে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ফেসবুকে নিজেকে প্রথমে বিসিএস ক্যাডারের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন অভিজিৎ। এরপর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জানিয়ে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। একই সঙ্গে বাবা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও মা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা বলেও তার কাছে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে অভিজিৎ তাকে নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, কয়েক মাস আগে বন্ধু সত্যজিতের সহায়তায় ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিজিৎ। বিশ্বাস জন্মাতে ৫০ টাকার দুটি স্ট্যাম্পে ভুয়া সই করে বানান বিয়ের ভুয়া হলফনামা। পরে ২১ মার্চ আবারো সত্যজিতের সহায়তায় একই বাসায় নিয়ে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করেন।

ওসি আরো বলেন, ২১ মার্চ অভিজিতের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় পুরো বিষয়টি পরিবারকে জানান ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর তার বাবা-মা অভিজিৎকে ফোন করে বাসায় যেতে বলেন। পরে অভিজিৎ ও সত্যজিৎ মিলে বাসায় গিয়ে তাদের নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেন। অভিজিৎ নিজেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকিও দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় অভিজিতকে গ্রেফতার করা হয়। সত্যজিৎকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)