যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে চান খালেদা জিয়া
ডেস্ক নিউজ:
নেতাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কাছের স্বজনরাও রয়েছে বিদেশে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীরের গতিও নেই ভালো। এজন্য চিকিৎসার নামে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে চান বেগম জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, দলীয় নেতা ও পরিবারিক সদস্যদের চাপে শারীরিক দিক থেকে যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আরো করুণ। লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ। তবুও বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেলে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের চিন্তা রয়েছে তার।
সূত্রগুলো আরো বলছে, পুরো পরিবার লন্ডনে থাকায় দেশে আর মন টিকছে না খালেদা জিয়ার। জীবনের বাকিটা সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে কাটাতে চান। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসাও পেতে চান তিনি। এরই মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের নামে যুক্তরাজ্যে কীভাবে স্থায়ীভাবে থাকা যায় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তারেককে নির্দেশ দিয়েছেন বেগম জিয়া।
সূত্রগুলো বলছে, দলের বর্তমান ও ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় যুক্তরাজ্য গমনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন বেগম জিয়া। তার অবর্তমানে প্রতিনিধি হয়ে দেশে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন মির্জা ফখরুল। আর বেগম জিয়া লন্ডন থেকে ছায়া নেতৃত্ব দেবেন।
এদিকে বিএনপি নেত্রীর গুলশানের ভাড়াবাড়ি ‘ফিরোজা’র ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার বিষয়টি তারেক রহমানকে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে বিএনপি-জামায়াতের আস্থাভাজন আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন তারেক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপি নেত্রীর নেতিবাচক পদক্ষেপ হবে। কথিত আপসহীন ও দেশপ্রেমিক তকমার অহংবোধ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য গমন ঠিক প্রাণের মায়ায় এম মোরশেদ খানের বিদেশ পালানোর মতোই হয়ে যাবে।