বাবাকে বাঁচাতে জবি শিক্ষার্থীর আকুতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ছাত্র আমি।সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির থানার নাটানা গ্রামে আমাদের বসবাস।পরিবারে সদস্য ৫ জন আমরা। মা,বাবা,ছোট ভাই,আমি ও ঠাকুরমা।পরিবারে তে মা,বাবার উপার্জন দিয়ে আমাদের ২ ভাইয়ের লেখা পড়া ও পরিবারের ভরনপোষণ ভাল ভাবে চলত।দিন আনা দিন খাওয়াতে কোন ও কষ্ট ছিল না।বাবার বসত ভিটে জমি ছাড়া আমাদের কোন ও জমি জায়গা নেই। বাবা ২০২০ এর ২০ তারিখের পরে বাবার খুব জ্বর আসে।গ্রাম ড়াক্তার দেখালে ঔষধ সেবনের পর কিছু ক্ষন পর ভাল থাকে।ধীরে ধীরে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে।হঠাত খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে বাবার স্বাস্হ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। গ্রাম লোক জন দেখে বলে কাজের মানুষ এ কি হল।তারা একটা স্যালাইন দিতে বলে যাতে একটু সুস্হ হয়।স্যালাইন শেষ হওয়ার পর ওই দিন রাতে ৭ থেকে ৮ বার গলা দিয়ে প্রচুর রক্ত বাইর হয়।সাথে সাথে ওই রাতে ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা মেড়িকেলে ভর্তি করা হয়।তার পরের দিন বাবাকে পরিক্ষা করা হল
মেড়িকেল রিপোর্ট বলে বাবার ২ টা কিড়নি নষ্ট হয়ে গেছে যার জন্য প্রসাব ধরে রাখতে পারছে না।অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়ার ফলে বুকের হাডের ক্ষত হয়েছে,,ড়ায়োবেটিকস এর কথা বলে।বাবাকে যখন মেডিকেল থেকে রিলেজ করে দেয় তখন বাড়ি নিয়ে আসা হয়।তখন মেডিকেল ডাক্তার যে ঔষধ লিখে দিয়েছিল তা বাবা খেয়ে ভুল বকতে থাকে।বাবা তখন স্বাভাবিক মানুষের মত ছিল না।তার পর ঔষধ বন্ধ করে দেয়া হয়।যত দিন যায় তত নিস্তেজ হয়ে যায়।কেউ ডাকলে ও শেনে না।সারা দিন শুয়ে থাকে।বাবাকে তার পর সাতক্ষীরা সুশান্ত কুমার ঘোষ কে দেখানে হয়।তিনি সিটি স্ক্যান ও যাবতীয় রিপোট করে বলে যে,বাবার ব্রোইনের ড়ান পাশে টিউমার দেখা দিয়েছে। বাবা মাথা ব্যাথা তে ছট ফট করে।সুশান্ত কুমার ঘোষ ডাক্তার ব্রোনের ড়াক্তার না।তাই তিনি ভারতে সঠিক চিকিৎসার করানোর কথা বলে।অন্য দিকে ঢাকাতে ২ টা ড়াক্তারের ঠিকানা দিয়েছিল।তিনি আর ও বলেন যে,বাংলাদেশের তাক্তার দ্বারা ভাল চিকিৎসা হবে না।তিনি বলেন ৩ লক্ষ টাকা লাগবে অন্যদিকে ভিসা,পার্সপোট ও অন্যান্য খরচ,,,আবার ভারতে যেতে গেলে করোনা টেস্ট, যাবতীয় খরচ যা আমাদের পক্ষে ম্যানেজ করতে পারছি না।পরিবারের সবাই তিন বেলা ঠিক মত খেতে পারছি না টাকার জন্য,, কাজের মানুষ গুলো ২ জন আজ বসে।এই লকড়াউনের ভিতর বাবাকে নিয়ে বড় বিপাকে পড়ছি।ছোট ভাই এবার এইচ,এস,সি ক্যান্ডিডেট।সে লেখা পড়া বাদ দিয়ে কাজ করছে মাঝের কাটায়।অন্য দিকে বাড়ির কাজ ও বাবার দেখাশেনা ও যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে।মায়ের হাটের সমস্যা তাতে মা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছে না। অন্যদিকে আমার ঠাকুরমা এর বয়স ৫৫ আপ।সে ও খুব কষ্ট পাচ্ছে।এমন অবস্হায় আমার পরিবারটি সবাই না খেতে পেরে অন্যদিকে বাবাকে নিয়ে অনেক সমস্যার ভিতর।তাই সবাই নিজের বাবা মনে করে আমার বাবার পাশে এগিয়ে আসুন প্লিজ।এ কষ্ট কাউকে বেঝানে যায় না।প্রতিটা দিন যাচ্ছে আমাদের কাদতে কাদতে।যে যত টুকু পারেন আমার বাবার সু চিকিৎসার জন্য আর্থিক ভাবে এগিয়ে আসুন প্লিজ।এতে আমার বাবা ও পরিবারের ৫ জন বেঁচে যাবে। সাহায্যের ঠিকানা,,,বিকাস পার্সােনাল ০১৭৩৪৫৭৩৯০৭
Please follow and like us: