সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, ১১ জনকে পিটিয়ে জখম প্রতিবাদে মানববন্ধন
রঘুনাথ খাঁ:
সহপাঠী কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ফুলতলায় রাস মন্দির ও শীতলা প্রতিমা ভাঙচুরসহ ১১জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ফুলতলা মোড়ে স্থানীয়রা এ কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বলরাম মণ্ডল, শিক্ষিকা নিপা চক্রবর্তী, হরিদাস হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল আলম, মৃনাল কান্তি বাউলিয়া, নিমাই মণ্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফুলবাড়ি গ্রামের কলেজ ছাত্র বিপ্লব মণ্ডল তার সহপাঠী পূজা মণ্ডলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাস মন্দিরের পাশের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় উত্যক্ত করছিল। স্থানীয় কয়েকজন তাতে আপত্তি জানায়। সেখান থেকে ফিরে যেয়ে ক্ষুব্ধ পল্লব মণ্ডল রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলীসহ মুন্সিগঞ্জের সরদার গ্যারেজ ও ঈশ্বরীপুর এলাকার সন্ত্রাসী আলীম গাজী, আলীম মোড়ল, রবিউল, কুদ্দুস, আলম গাজী, আয়জুল, খোকন, মিলন, ইয়াকুব, সুজন, সাইদুলসহ ৭০/৮০ জন সন্ত্রাসী বৈদ্যুতিক তার বিচ্ছিন্ন করে শীতলা মন্দির, শীতলা প্রতিমা ও রাসমনি মন্দির ভাঙচুর করে। বাধা দেওয়ায় এবং সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন বাউলিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় পিটিয়ে জখম করা হয় নগেন্দ্র বাউলিয়া (৬০), সুভাষ বাউলিয়া (৪২), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪০), যতীন বাউলিয়া (৩৮), মিলন বাউলিয়া (২০), নিত্যানন্দ (১৮), মমতা বাউলিয়া (২৫) ও তপন বাউলিয়া (৪৮)সহ ১১জনকে। রাতেই তাদেরকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলাকারিরা নগেন্দ্রনাথ বাউলিয়ার দু’ মেয়েকেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বর্বোরচিত এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে তারা গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।#