শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ ফুলতলায় দূর্বিত্তদের হামলায় রাস মন্দির ও শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর.আহত ১১
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ফুলতলায় দূর্বিত্তদের হামলায় রাস মন্দির ও শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। এই ঘটনায় সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন্দ্র বাউলিয়ার ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনায় আহত হয়েছে ১১ জন। ১৩ ই এপ্রিল মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার সুভাষ বাউলিয়ার স্ত্রী পূর্ণিমা বাউলিয়া বলেন, উত্তর কদমতলা ফুলতলা এলাকার শ্রীপদ মন্ডলের ছেলে পল্লব মন্ডল (১৯) এই ঘটনা ঘটায়। প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে পল্লব ও এক মেয়ে(পুজা মন্ডল-১৭) কে বিলের ভীতরে সুভাষ বাঊলিয়ার ছেলে মিলন বাঊলিয়া (১৮)সহ কয়েক জন তাদেরকে ধরে ফেলে এবং পরবর্তীতে মীমাংসা হয়ে যায় । কিন্তু ওই ঘটনার রেশ ধরে পল্লব ৫/৭ টা মটর সাইকেলে লোকজন নিয়ে এসে সন্ধ্যায় আমাদের হামলা চালায়।
আমরা ভয়ে পলাই তখন আমাদের না পেয়ে আমাদের দুই মেয়ে বিজুলী ও মমতা কে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাত ধরে টেনে ঘরের বাইরে বের করতে থাকে তখন ছোট মেয়ে চিৎকার করলে ওর বাবা, দাদা,কাকারা আর পালিয়ে না থাকতে পেরে বেরিয়ে আসে আর তখনই ইট ছুড়ে মারতে থাকে এবং তার দলবল ঘরে থাকা টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ও মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। এবং ঘর পুড়িয়ে দেয়ার জন্য আগুন জ্বালিয়ে দেয়, আর কিছু লোক তাদের তাড়া করে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করে। তারা আরও বলেন এই ঘটনার পিছনে আজগর মেম্বারের সহযোগীতা রয়েছে । এবিষয়ে আজগর মেম্বারের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আহতরা হলেন মৃত ফণীন্দ্র বাউলিয়া পুত্র নগেন্দ্রনাথ বাউলিয়া (৭০), তপন বাউলিয়া (৬০), নগেন্দ্র নাথ বাউলিয়ার তিন পুত্র সুভাষ বাউলিয়া (৫০), যতিন বাউলিয়া (৪০), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪৫),যতিন বাউলিয়ার স্ত্রী কৌশল্যা বাউলিয়া (৩৫) , সুভাষ বাউলিয়ার স্ত্রী পূর্ণিমা বাউলিয়া(৪৫), কন্যা মমতা বাউলিয়া (১৮),পুত্র মিলন বাউলিয়া ( ১৯) যতিন্দ্র বাউলিয়া কন্যা বিজলী বাউলিয়া (১১) , গোবিন্দ বাউলিয়া পুত্র নিত্যানন্দ বাউলিয়া (১৬)।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)নাজমুল হুদা জানান, এটি একটি প্রেম ঘটিত কারণ বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পল্লব মন্ডল ও পুজা মন্ডল দুজনেই মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি-এর প্রথম বর্ষে পড়ে, উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনা শুনে সেখানে যায়। এ-ঘটনায় দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও ১১ জন আহত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের ধরার ব্যাপারে অভিযান শুরু করেছি।