করোনায় মারা গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার ফরিদ
বিনোদন ডেস্ক:
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের অন্যতম সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদের মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ফরিদা ফারহানা।
তিনি জানান, ফরিদ আহমেদ ১১ এপ্রিল থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মার্চের শেষ সপ্তাহে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন ফরিদ আহমেদ। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে স্ত্রী শিউলি আক্তারের অবস্থা ভালো হলেও ফরিদ আহমেদের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
চিকিৎসকরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সুরকার ফরিদ আহমেদের ফুসফুসের ৬০ ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস জটিলতায় ভুগছিলেন।
ফরিদ আহমেদ অনেক কালজয়ী গানের সুরকার। লিটন অধিকারী রিন্টুর লেখা ও কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’ গানে সুর করে প্রথম প্রশংসিত হন তিনি। নাটক-সিনেমার আবহসংগীতকার হিসেবেও তার অবদান অনেক।
ফরিদ আহমেদের সুর করা আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে- ‘ইত্যাদি’ ম্যাগাজিনের টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’, ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’, রুনা লায়লার ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের কণ্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ের ‘আজ জন্মদিন’, ‘ক্ষুদে গানরাজ’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’, সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার থিম সং, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘তুমি আমার জীবনের গহিনে’ প্রভৃতি।
‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালে সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ।
মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি ও রেশ ফাউন্ডেশন নামের আলাদা দুটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফরিদ আহমেদ।