নাশকতা মামলার আসামীদের পক্ষ নিয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাশকতা মামলার আসামীদের পক্ষ নিয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কালিগঞ্জের বাজারগ্রাম(কামদেবপুর) গ্রামের মৃত ছদর উদ্দীনের পুত্র নজরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগারের থানা সাধারণ সম্পাদক। আমি বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি নাশকতার মামলা দায়ের করি যার আসামী শ্যামনগর-কালিগঞ্জের
সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন(জামায়াত-বিএনপি) বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছবি
ভাংচুর যার মামলা নং-২৩, তাং- ১৯/১১/১৩। যার কারনে জামায়াত-বিএনপির লোকজন আমাকে খুন জখম, মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে তারা দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু সম্প্রতি কালিগঞ্জ থানায় জামায়াত সমর্থক ওসি যোগদান করার পর নাশকতা মামলার আসামী কাজী আলাউদ্দিনের ইন্ধনে ও থানা বিএনপির সেক্রেটারী নুর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের সহযোগিতায় উক্ত মামলার আসামীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাজি আলাউদ্দিনের
সহযোগিরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে কাজী আলাউদ্দিন ও বিএনপির নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের ইন্ধনে ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর মহিলা জামায়াতের নেত্রী আলেয়া
খাতুনের উপস্থিতিতে গত ১৭/০৬/২০২০ তারিখে আমার বসত বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী,পুত্র ও আমাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা আমার পরিবারের সদস্যদের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর পানি থেকে তুলে আমার স্ত্রীকে গাছের সাথে বেধে রাখে। এঘটনায় আমার শ্বশুর বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং- ২৩, তাং- ১৭/০৬/২০। দু:খের
বিষয় আমার মামলার যারা আসামী জামায়াত-বিএনপির ওই আসামীদের দিয়ে ১৯/০৬/২০২০ তারিখে জামায়াত সমর্থক ওসি আমাদের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা মিথ্যা মামলা নেয়। উক্ত মামলায় আমিসহ আমার স্ত্রী এবং আমার দশম
শ্রেণিতে পড়–য়া পুত্র ও ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা শ্বশুরকে আসামী করা হয়।
থানার ওসি পরবর্তীতে দ্রুত উক্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলার চার্জশীট দাখিল করেন মামলা নং- ২৪। তাং- ১৯/০৬/২০। চার্জশীট নাম্বার ১৪৮, তাং-২৭/০৭/২০২০। এতেই ক্ষ্যন্ত না হয়ে ওসি সাহেব তার এক এ এস আই রাসেলকে দিয়ে আমাকে আরো একাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি
প্রদর্শন করে টাকা দাবি করে। আমি ভীতু হয়ে স্থানীয় মেম্বর আব্দুল খালেকের মাধ্যমে এবং শফির মাধ্যমে তাকে কিছু টাকা প্রদান করি। তারপরও উক্ত মিথ্যা মামলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চার্জশীট দাখিল করে এমনকি মিথ্যা মামলায় জেল হাজতও খাটিয়েছে। যে কারণে বিগত ২০১৩ সালে জামায়াত বিএনপির নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলার
বাদী হওয়ায় আমার কাল হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান জামায়াত সমর্থিত ওসির কারণে উক্ত নাশকতাকারীরা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন চরম হুমকির মুখে রয়েছে। উল্লেখিত আসামীরা যে কোন সময় আমাদের জান ও মালের ক্ষতি করতে পারে। আমি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি নাশকতাকারীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জামায়াত সমর্থিত ওসি দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমার প্রশ্ন ওসি দেলোয়ার যোগদানের পর কতজন বিএনপি
জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে? আমাদের জানামতে উক্ত ওসি যোগদানের পর থেকে কালিগঞ্জের জামায়াত-বিএনপির
নাশকতাকারীরা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। থানার ওসি যেন তাদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছেন। তিনি ওই জামায়াত সমর্থক ওসির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণসহ আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলায় চার্জশীট দেওয়া হয়েছে তার পুন তদন্তের দাবিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।