কালিগঞ্জে নিকট আত্মীয়দের ষড়যন্ত্রের স্বীকারঃ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব  প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিকট আত্মীয়ের ষড়যন্ত্রের
প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন
কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নের কাকশিয়ালী গ্রামের মৃত এবাদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি কালিগঞ্জের কাকশিয়ালী গ্রামের একজন গৃহহীন, হত-দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট সাধ্য করিয়া, টিউশনি করিয়া, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে অনার্স, মাষ্টার্স শেষ করে ৩৮তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা
হিসাবে খুলনার বটিয়াঘাটায় কর্মরত আছি। যেখানে আমাকে নিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের গর্ব করার কথা সেখানে তারা উল্টা আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পক্ষান্তরে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ফারুক হোসেন@লিটন, বেটা
জব্বার ও আমার রক্তের আত্মীয়স্বজন জোর পূর্বক আমার কেনা সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার দাদির থাকার নাম করে তারা মাদক ব্যবসায়ী বেটা জব্বারকে আমার ঘরে জোর পূর্বক তুলে দেয়। দাদি থাকবে শুনে আমারা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেখানে মাদক ব্যবসা ও নারী ঘটিত অসামাজিক কার্যক্রম চালাতে থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে বলে তোদেরকে উচ্ছেদ করে দেবো। তোরা বের হয়ে যা। তোদের কোন জায়গা নেই। ঘর-বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে
চাঁদা দাবি করে। চার লক্ষ টাকা চাঁদা দিলে আমার জায়গা ছেড়ে দিবে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ফুফুরা আমার বৃদ্ধ মা ও ছোট ভাইকে মারধর করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে মা ও ভাইকে নির্যাতন করে ও ঘর বাড়ি ভাংচুর করে।

এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় আমার ছোট ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম এজাহার দায়ের করে।

অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ বেটা জব্বার ও লিটনকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার মামলা নং-৬/৯৯ মূলে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। বিভিন্ন থানায় লিটনের নামে ৮ টি ও বেটা জব্বারের নামে ৪ টি মামলা রয়েছে।

গত ১০ এপ্রিল‘২১ তারিখ আমাদের বিপক্ষে
দাদিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তাদের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করেছি।

বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বাবা চাচ দু’জনে মিলে ৬ শতাংশ জমির মালিক বাবা-চাচার মৃত্যুর পর আমরা সন্তানরা ওয়ারেশ। আমার
চাচার ১ ছেলে, ৪ মেয়ে ও ১ স্ত্রী (যদিও চাচার ৩ টা বিয়ে ১ম ও ২য় স্ত্রী ডিভোর্স প্রাপ্ত) আমার চাচার বড় মেয়ে নাজমার প্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ জমি আমরা
কিনেছি যার দলিল নং-৪২১৩ ও ছোট চাচির প্রাপ্ত ০.৩৭ শতাংশ যার দলিল নং ৫১৩৩ আমরা কিনেছি। আমার চাচার ছেলে ঈশান হোসেন(৪) তার ০.৮৭ শতাংশ অংশটুকু ছোট চাচির অভিভাবকত্বের দায়িত্বে আনরেজিষ্ট্রি দলিল করে নিয়েছি। জমি-জমা নিয়ে চাচার সাথে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বর ও গণ্যমাণ্য
ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর‘২০১৭ সালে আপোষ মিমাংশা করে নেওয়া হয়। তিনি সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন@লিটন, বেটা জব্বার এর বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থাগ্রহন এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শরিফুলের মা, ভাই সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)