কার্যকারিতা বাড়াতে টিকা মিশ্রণের কথা ভাবছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনে উৎপাদিত করোনা টিকার কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর উপায় হিসেবে কয়েকটি টিকা মিশ্রণের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, কার্যকারিতা দিক থেকে ফাইজার ও মডার্নাসহ অন্যান্য টিকার তুলনায় চীনা টিকা পিছিয়ে রয়েছে। সংরক্ষণের সময় কঠোর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়।

শনিবার চীনা শহর চেঙ্গদুতে এক সম্মেলনে চীনা রোগ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু বলেন, কার্যকারিতার দিক থেকে চীনা টিকার হার খুব বেশি না। কার্যকারিতার হার কীভাবে বাড়ানো করা যায় তা বিজ্ঞানীদের বিবেচনা করা দরকার।

গাও ফু বলেন, টিকা মিশ্রিত করা ও টিকাদানের পদ্ধতিগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।

চীন চারটি নিজস্ব টিকা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। শনিবার একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে বছরের শেষ নাগাদ দেশটি ৩ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে পারে।

ব্রাজিলের একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে চীনের সিনোভাক টিকার কার্যকারিতা হার ৫০ ভাগের চেয়ে কিছু বেশি ছিল। আর তুরস্কের একটি পৃথক গবেষণা বলেছে যে এটি ৮৩.৫ ভাগ কার্যকর।

চীনের সিনোফর্মের তৈরি একটি টিকার কোনো কার্যকর কার্যকারিতার তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দুটি টিকার অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফলের ভিত্তিতে যথাক্রমে ৭৯.৪ ভাগ ও ৭২.৫ ভাগ কার্যকর হতে পারে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।

সূত্র : রয়টার্স

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)