কালিগঞ্জে সরকারি খাল দখলে মত্ত বিএনপি নেতাঃপ্রশাসন নিরব
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সরকারি জলমহল দখলে মত্ত বিএনপি নেতা আজিজ শেখসহ তার দোসররা, প্রশাসন বিষয়টা আমলে না নেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জেলে পরিবারসহ সুফলভোগীরা। খালটি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভেগেরহাট খোলা থেকে বামনহাট পযর্ন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ। ঐতিহ্যবাহী জগবাড়ীয়া খালটি নামে-বেনামে দখল করে এর রূপ ও নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে। আর এভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খালগুলো। যেন বলার কিছু নেই, দেখারও কেউ নেই। যে যার মতো করে দখল করে নিয়েছে সরকারি সম্পত্তি।
ছবিঃবিএনপির নেতা
তবে এর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খালটি দীর্ঘদিন যাবৎ উন্মুক্ত ছিল বর্তমানে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা খালটি নিজেদের জায়গা দাবী করে দখল করে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রভাবশালীদের খাল দখলের কারণে জগবাড়ীয়া খালটি বিলীন হতে বসেছে। সরেজমিনে যেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী রমেশ মন্ডল, সন্ন্যাসি মন্ডল, তরু মন্ডল, ভারতী মন্ডল সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে আমরা এই খালটিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এই খালটি ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বিঘার এরিয়া জুড়ে খালের মাঝখান হতে খুঁটি পুঁতে বেড়া দিয়ে ইতিমধ্যে দখল শুরু করেছে ঐ এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের সব্বান আলী শেখের দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। বানিয়াপাড়া খাল দখলের বিষয়টি সাইদুল ও সিরাজুলের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের রেকডীয় সম্পত্তি আমরা ঘিরে নিয়েছি। কিন্তু রেকডীয় সম্পত্তির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবং পাশ্ববর্তী বানিয়াপাড়া খালের প্রায় ২৭ বিঘার এরিয়া জুড়ে ২০১৩ সাল থেকে দখল করে সেখানে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করেছে স্হানীয় প্রভাবশালী আলহাজ্ব আক্কাস আলী শেখ এর পুত্র কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজ শেখ। তার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন, সরকারী সম্পত্তি জবরদখল, আইন অমান্যকরাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
খালটি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা জল কমিটি থেকে ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলে আছি। অথচ এই আজিজ শেখ কোন মৎস্যজীবি সমিতির সদস্য কিংবা ব্যক্তি নন তাহলে তিনি এটি কিভাবে ইজারা নিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
এঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন জানান, ইতিমধ্যে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের খালটিতে মাটি ভরাট করতে নিষেধ করি, ঘেরা বেড়া না দিতে সতর্ক করেছি এবং আমি কাজ বন্ধ করে দেই। তার পরেও বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, খালটি যারা দখল করছে তাদের নাম ঠিকানা আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।