শ্যামনগরে গাছ মারতে গোড়ায় কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি দিল দুর্বৃও্বরা
ডেস্ক নিউজঃ
সরকারের মালিকানাধীন বিশালাকারের দুটি মেহগনি গাছ মেরে ফেলতে তার গোড়ায় কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ঢালা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত এগারটার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামের গোপালপুর সড়কে ঘটনাটি ঘটে।
কেমিক্যালযুক্ত পানি দুটি ড্রামে করে মটর চালিত ভ্যানযোগে এনে গাছের গোড়ায় ঢেলে তিনজন। পরক্ষণে স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রকট বিষাক্ত গন্ধের ঐ পানি ফেলার কারন জানতে চাইলে দ্রুত তারা চম্পট দেয়। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ঐ গাছ দুটি কেটে ফেলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন বলে তথ্য মিলেছে।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে তিন ব্যক্তি কেমিক্যালযুক্ত ঐ পানি দুটি ড্রামযোগে এনে গাছ দুটির গোড়ায় ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং কেমিক্যাল এর গন্ধযুক্ত ঐ পানি গাছের গোড়ায় ফেলার কারন জানতে চাইলে তারা এলাকা ত্যাগ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে নকিপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ কয়েক বছর ধরে জেলা পরিষদ সড়কের পাশে বেড়ে ওঠা ঐ গাছ দুটি অপসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার যোগযোগ করেও গাছ দুটি কেটে ফেলার চেষ্টা চালান।
তার লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। গত বছর একইভাবে গাছ দুটির গোড়ায় পানি ফেলে যাওয়ার পর তার কিছু অংশ শুকিয়ে যায় বলেও সংশ্লিষ্টদের দাবি।
বাদঘাটা গ্রামের বেগম জানান গভীর রাতে বাসার সামনে শব্দ শুনে গেট খুলে বের হতেই তিনজনকে একটি ভ্যান নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সাথে মিলে বাইরে যেয়ে দেখা যায় রাস্তার পাশে থাকা দুটি মেহগনি গাছের গোড়ায় ফেলে যাওয়া পানি দিয়ে প্রকট গন্ধ ছুটছে।
মিলন হোসেন জানান রাতের খাবার খেয়ে বাসার সামনে পায়চারী করার সময় ট্রলি ভ্যানকে ঐ গাছের পাশে থামতে দেখেন। এসময় কয়েকজনের কথা শুনে রাস্তার দিকে এগিয়ে দেখা যায় গাছের গোড়ায় ফেলা পানি দিয়ে প্রচন্ড গন্ধ ছুটছে। সেখানে কি ফেলা হয়েছে জানতে চাইলে ‘ড্রামে থাকা পানি’- জানিয়ে অপরিচিত তিন ব্যক্তি দ্রুত চলে যায়।
বিশালাকারের সরকারী গাছ মারতে তার গোড়াতে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে মুটোফোনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আহসান হাবীর বলেন, যারা সরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সার্ভেয়ার আবু হাসানকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর কথাও জানান।