কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলীর সংবাদ সম্মেলন
কামরুল হাসানঃ
কলারোয়ায় বীর শাহাজাহান আলীর এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার গয়ড়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গয়ড়া বাজারস্থ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মো: শাহাজাহান আলী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের মৃত বজলে দালালের পুত্র ইব্রাহীম হোসেন, লিয়াকত আলী ও লিয়াকত আলীর পুত্র মো: রায়হানের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদ্রাসার সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। কিন্তু উপরোক্ত পরসম্পদ লোভী, হিংস্র-সন্ত্রাসী ও জামায়াতের রোকনপ্রাপ্ত কর্মীরা মাদ্রাসার ২ শতক জমি আত্মসাত করার চেষ্টা করলে আমি সভাপতি হিসাবে প্রতিবাদ জানালে আমার নামে গত ১৫ জুলাই ১৮’ সাতক্ষীরা আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। আমিও মাদ্রাসার স্বার্থে ৭ ডিসেম্বর ২০’ সাতক্ষীরা এডিএম কোর্টে ১৪৫ ধারায় বিবাদীগণের নামে মামলা দায়ের করি। মামলার এক পর্যায়ে বিজ্ঞ কোর্ট কলারোয়া থানা পুলিশকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করলে থানার পক্ষ থেকে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে কোর্টের কেস নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ সম্পত্তিতে জবর দখল করতে পারবেন না বলে নির্দেশ প্রদান করেন। আমি সেই নির্দেশনা মেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মাদ্রাসার সম্পত্তি দেখভাল করিয়া আসিতেছি। কিন্তু পরসম্পদ লোভীরা গত ৭ এপ্রিল ২১’ জোরপূর্বক মাদ্রাসার ০৯ শতক জমির মধ্যে অর্ধেক সম্পত্তি নিজ দখলে রাখিয়া বাদ বাকি সম্পত্তিতে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে থানার অফিসার ইনচার্জকে(ওসি)কে জানালে তিনি চন্দনপুর ইউনিয়ন বিট অফিসারকে অবহিত করতে বলেন। সেই মোতবেক আমি ইউনিয়ন বিট অফিসারের সাথে মোবাইলে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করলে তিনি পরে শুনবেন বলে রিং কেটে দেন। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সমাজে পরসম্পত্তি লোভী ও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী ব্যক্তিদের এহেন কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাতে গেলে থানা প্রশাসনের কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তিনি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ সকল সচেতন নাগরিক সমাজের কাছে পরসম্পদ লোভী ও কুকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।