ধুলিহরের আওয়ামীলীগ নেতা বোরহান উদ্দীনের অব্যহতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরায় একজন আওয়ামী লীগ নেতার নামে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যেচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মৃত
আবদার আলী মোল্লার ছেলে মোঃ সাঈদ মোল্লা এই প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের শেখ বোরহান উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে ধুলিহার ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) পদে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি আমার দাদা হন।
ধুলিহর বাজার সাহেব সাহেববাড়ি মোড়ে বোরহান উদ্দীনের ভোগদখলীয় কয়েকটি দোকান ঘর আছে। ধুলিহর গ্রামের হাফিজের স্ত্রী মহিলা মেম্বর
রাবেয়া বেগম রড সিমেন্টের ব্যবসার জন্য আমার দাদার কাছ থেকে দু’টি গোডাউন ২০১৬ সালে দু’বছরের জন্য ভাড়া নেয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ২০১৮ সালে রাবেয়া বেগমের ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বোরহান উদ্দীন নিজে ব্যবসার জন্য রাবেয়া বেগমকে ঘর ছেড়ে দিতে বললে তিনি তালবাহানা শুরু করেন।
এসময় ভাড়ার টাকা না দিয়ে তিনি জোরপূর্বক দোকান ঘর দখল করে রেখে ব্যবসা করতে থাকেন।
সাঈদ মোল্লা আরো বলেন, ভাড়ার মেয়াদ শেষে দুই বছার পার হলেও ঘর না ছাড়ায় বোরহান উদ্দীন বাধ্য হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় গত ২ এপ্রিল দোকান দু’টিতে তালা মেরে দেন। কিন্তু ৪ এপ্রিল ১০ দশটার দিকে মহিলা মেম্বর রাবেয়া বেগম, ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের আনিছুর, ধুলিহর গ্রামের বাবলু গাজী ও হাফিজসহ আরো ২/৩ জন হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে
দোকান ঘরের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমি ও দাদাসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বাধা দেয়াার চেষ্টা করলে রাবেয়া বেগম হত্যার উদ্দেশ্যে
বোরহান উদ্দীনের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে মাথার বাম পাশে গুরুতর হাড়ভাঙ্গ জখম হয়। অন্যান্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর ফোলা জখম করে।
এসময় রাবেয়া বেগম ও আনিসুর দাদা বোরহান উদ্দীনের পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৪১ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে নেয়। তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুন-জখমের হুমকি দেয়। আহত অবস্থায় বোরহান উদ্দীনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে উল্লেখিতদের নামে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর ইউপি মেম্বর নব মুসলিমের দোহাই দিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে উল্টো দাদা বোরহান উদ্দীনের নামে থানায়
একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এরপরও নিজের অপরাধ ঢাকতে রাবেয়া বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মিথ্যে তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যে,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি সংবাদ সম্মেলনে রাবয়া বেগমের দেয়া
বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাঈদ মোল্লা বলেন, মেম্বর রাবেয়া বেগম এলাকার কাউকে পরোয়া করেন না। নিজের সম্মানবোধ কম থাকায় যখন তখন যাকে তাকে অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করেন। তিনি মিথ্যে মামলার দায় থেকে আ’লীগ নেতা বোরহান উদ্দীনকে অব্যহতির পাশাপাশি মহিলা মেম্বর রাবেয়া বেগমের বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।