সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা কর্তৃক মহিলা ইউপি সদস্যকে মারপিট ও শ্লীলতাহানিঃ দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি

নিজস্ব  প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা কর্তৃক মহিলা ইউপি
সদস্যকে প্রকাশ্যে মারপিট এবং শ্লীলতাহানির ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের তামালতলা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।

তিনি বলেন, আমি ধুলিহর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের একাধিক বারের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য। ধুলিহর কাঁছারীপাড়া গ্রামের
মৃত. শেখ আনোয়ার হোসেনের পুত্র শেখ বোরহান উদ্দীনের ব্রহ্মরাজপুর বাজারস্থ সাহেববাড়ীর মোড়ে দোকানঘর আছে। আমি উক্ত দোকানঘরটি
মাসিক ১ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া গ্রহণ করি। ভাড়া নেওয়ার সময় দোকান ঘরের জামানত হিসেবে ২লক্ষ ৫ হাজার টাকা তাকে বোরবহান কে
প্রদান করি। ভাড়া নিয়ে অন্তরা এন্টারপ্রাইজ উল্লেখ্য পূর্বক উক্ত দোকানে সুনামের সাথে রড সিমেন্টের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। দোকান ঘরের ডিড এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমি তাকে পুনরায় দোকান ঘরের ডিড করে দেওয়ার জন্য বললে তিনি ডিড না করে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে।

এতে আমার ব্যবসা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। গত গত ০৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সকালে দোকানে বসে ক্রয়-বিক্রয় করার সময় বোরহান
উদ্দীন লোহার হাতুড়ী নিয়ে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে হাতুড়ি দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাড়ে, মাথার পিছনে আঘাত করে এতে আমি
মেঝেতে পড়ে গেলে আমার গলায় থাকা উড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। ক্যাশ বাক্সে থাকা ২লক্ষ ১৫ হাজার ৩শত টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বাজারের উপর শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আমাকে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে মারপিট করে পরনে কাপড় চোপড় ছিড়ে শ্লীলতা হানি ঘটনায়।

এসময় বাজারের কিছু মানুষ তার কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা
নং- ১৬, তারিখ- ০৫/০৪/২০২১ দায়ের করি। মামলার খবরে ওই ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে
এবং আমাকে মামলা তুলে নিতে ও মামলার স্বাক্ষীদের প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। উক্ত বোরহান উদ্দীন শুধু আমাকে নয় এলাকায় বহু অসহায় নিরিহ
মানুষকে তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট করে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখে। এছাড়া সম্প্রতি ওই আওয়ামীলীগ নেতা বোরহান
উদ্দিন তুচ্ছ ঘটনায় সংখ্যালঘুপরিবারের সদস্য ব্রহ্মরাজপুরের বিরেন পালের ছেলে সুজন পাল, তেতুলডাঙ্গার দিলীপ সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তার কাছে চায়ের দাম চাওয়ায় ওই চাওয়ালাকেও মারপিট করে।
বোরহান উদ্দীন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। তিনি বোরহান উদ্দীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)