আশাশুনির দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধের ২য় ক্লোজারে চাপান সম্পন্ন
জি এম মুজিবুর রহমানঃ
আশাশুনি উপজেলা সদরে জেলেখালী-দয়ারঘাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ী বাঁধের ২টি পয়েন্টের শেষ ক্লোজার চাপান সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ক্লোজারে বালি ভর্তি জিও বস্তা ফেলে ২য় ক্লোজারটি আটকানোর কাজ শেষ হয়েছে। ফলে বাঁধের ক্লোজারের চাপান কাজ সম্পন্ন হলো।
গত বছর (২০২০ সাল) ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে আশাশুনি সদরের জেলেখালী ও দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসেও বাঁধ রক্ষার কাজে হাত দেওয়া হয়নি। এলাকার একটি বড় অংশ বাইরে রেখে রিং বাঁধের মাধ্যমে বাকী এলাকাকে জোয়ারের পানির প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল।
এবছরের ৩০ মার্চ খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় রিং বাঁধ ভেঙ্গে পুনরায় সদর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে ভাঙ্গন কবলিত রিং বাঁধ রক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়। শনিবার (৩
এপ্রিল) থেকে মূল বাঁধে দু’টি পয়েন্টে ২১০ ফুট ভাঙ্গন স্থানের ছোটটির ক্লোজারের বেডের কাজে হাত দেওয়া হয় এবং ৪ এপ্রিল ক্লোজারের চাপান কাজ সম্পন্ন করা হয়।
মঙ্গলবার আপ্রাণ পরিশ্রম করে ২য় ও শেষ ক্লোজারের চাপান কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু
কুমার সরকার জানান, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তুলনায় নদীতে কমপক্ষে ১০-১২ সেঃমিঃ পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫৪ মিঃ উচ্চতায় পরিণত হওয়ায় রিং বাঁধ টিকতে পারেনি। ভাঙ্গন কবলিত রিং বাঁধের কাজের পর মূল বেড়ী বাঁধের দু’টি পয়েন্টে ২১০ ফুট ভাঙ্গন স্থানের চাপান কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন জেলেখালী ও দয়ারঘাট এলাকার দুর্দশা ও চরম
ঝুঁকিতে থাকা ৫৩৫ মিঃ মূল বেড়ী বাঁধ সংস্কার কাজ
করা হবে। এছাড়া নিমতলা এলাকার ২৫০ মিটার নির্মান কাজে সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা এবং মানিকখালী থেকে নিমতলা ৭০০ মিটার বাঁধ নির্মানের জন্য ৪১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেখানেও কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।