সারাদেশে লকডাউন শুরু
নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে শুরু হয়েছে লকডাউন।
লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে।
সরেজমিনে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, এলাকাসহ বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাঁকা। তবে কোথাও কোথাও মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, সিএনজিসহ দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
গতকাল রোববার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবনের থেকে জীবিকা কোনোভাবেই বড় নয়। আগে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণের শেষ অস্ত্র লকডাউনের সুফল পেতে রোগী শনাক্ত, আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ রোগ প্রতিরোধের বিজ্ঞানভিত্তিক সব ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিদিনই হচ্ছে কোভিড সংক্রমণের কোনো না কোনো নতুন রেকর্ড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। ফেব্রুয়ারিতে দুই শতাংশের ঘরে থাকা সংক্রমণ হার লাফিয়ে বাড়তে বাড়ছে এখন ছাড়িয়ে গেছে ২৩ শতাংশ।
দেশে করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ভোর ছয়টা থেকে থেকে আগামী রোববার রাত ১২ টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবার মধ্যে- পণ্য পরিবহন, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী আওতাভুক্ত থাকবে।