সাতক্ষীরায় প্রতারনার মাধ্যমে গরিব অসহায় দুই চাচাতো বোনের ওয়ারেশের সম্পত্তি লিখে নেওয়ার প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় প্রতারনার মাধ্যমে গরিব অসহায় দুই
চাচাতো বোনের ওয়ারেশের সম্পত্তি লিখে নেওয়ার প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা সদরের খলিলনগর গ্রামের মৃত তারাচন্দ্র মোড়লের দুই কন্যা মোছা: হাসিনা খাতুন ও শাহানারা খাতুন, বলেন আমরা দুই বোন পিতার ওয়ারেশ হিসেবে বৈকারি ও খলিলনগর মৌজায় বিভিন্ন দাগে সম্পত্তি প্রাপ্ত হই।
আমরা স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় জমি জমার বিষয়ে ততটা বুঝি না। এদিকে আমাদের দুই বোনের ভাগের সম্পত্তির উপর কু নজর পড়ে আমাদের
আপন চাচা জিয়াদ আলী মাস্টারের পুত্র মাহবুর রহমানের। চাচাতো ভাই হওয়ায় তার সাথে আমাদের সুসম্পর্ক ছিলো। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে
মাহবুবুর রহমান আমাদের দুই বোনের সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দিতে থাকে। প্রথম দিকে আমরা রাজি না হলেও আমরা অত্যান্ত অভাবী গরিব মানুষ হওয়ায় একপর্যায়ে বাজার দর হিসেবে দুই বোনের ভাগের ৫৭ শতক সম্পত্তি ১২লক্ষ টাকায় মাহবুুবুর রহমানের বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সুচতুর মাহবুবুর রহমান আমাদের বলে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দে আমি বাড়ি ফিরেই টাকা পরিশোধ করবো। আমরা সরল বিশ্বাসে সেখানে গিয়ে জমি লিখে দেয়। তবে বাস্তুভিটা এবং পুকুরের সম্পত্তি বাদে অন্যান্য দাগের সম্পত্তি তার কাছে বিক্রয়ের জন্য চুক্তি হয়। সেদিন জমি লিখে নেওয়ার পরে বাড়ি ফিরে টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও প্রায় ১বছর অতিবাহিত হলেও সুচতুর পর সম্পদ লোভী মাহবুবুর আমাদের টাকা পরিশোধ করেনি। আবার দলিল উত্তোলন করার পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারলাম মাহবুবুর রহমান
আমাদের বাস্তুভিটা এবং পুকুরের সম্পত্তিও লিখে নিয়েছে। দলিলে দেখ যায় দাঁত ভাঙার বিলে ১.৮৯০ শতক, বৈকারী বিলান ৪.৬০৬ শতক, খলিল নগর মৌজায় বিলান ২৬.৪৪৩ শতক, ডাঙ্গা ১৬.৯৭৮, বাস্তু স্থাপনা বাদে ৬.৫৪৬, ও পুকুর ০.৫৭২ শতক। দাগগুলোর মধ্যে বাস্তু এবং পুকুর আমরা কোন ভাবেই তাকে দিতে রাজি হয়নি। প্রতারনার মাধ্যমে সে দুটি দাগ তো লিখে নিয়েছে আবার কোন টাকাও না দিয়ে তাল বাহানা করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গেলে তাদের ডাকা শালিসেও হাজির হয় না সুচতুর মাহবুবুর রহমান। সে আমাদের ভাই এমন সরল বিশ্বাসে তার খপ্পড়ে পড়ে আমরা অসহায় দুই বোন বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। টাকাও পাচ্ছি না আবার জমিও গেল। আমরা অসহায় দুই বোন ওই পর সম্পদ লোভী মাহবুবুর রহমানের কবল থেকে আমাদের টাকা উদ্ধার এবং প্রতারনার অভিযোগে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।