হাজীরহাটে সামাদ মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা নির্মান নিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি
জি এম মুজিবুর রহমানঃ
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি
পশ্চিমপাড়া হতে কাদকাটি জিসি সড়ক নির্মান কাজ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (২১ মার্চ) সকালে এনিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
সামাদ মার্কেটের স্বত্তাধিকারী আঃ সামাদ ও স্থানীয়
সূত্রে জানাগেছে, ১৯৯৮ সালে সড়কের সামাদ মার্কের
সামনে পশ্চিমপাশে সড়ক দখল নিয়ে খাস জমির উপর দোকান
ঘর নির্মান কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন এলাকার
মানুষের বাধার মুখে কাজ বন্দ হয়ে যায়। এক বছর পর ঈদের
ছুটির সময় পুনরায় একই স্থানে ঘর নির্মানের কাজ শুরু
করা হয়। এনিয়ে তৎকালীন তহশীলদার নোটিশ করলেও অমান্য
করা হয়। পরবর্তীতে ঘর নির্মান বন্ধ ও উচ্ছেদ মামলা (নং
০৭/২০০১) আদালতে মামলা রুজু করা হয়। বিজ্ঞ আদালত
১৮/৯/০১ তাং উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট
নিয়োগ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে উচ্ছেদ কার্যক্রম দেখা
যায়নি। অবৈধ দখলকারীরা এখনো সড়ক দখল নিয়ে নির্মীত
ঘর দখলে রেখেছেন। সাথে সাথে দোকান ঘরের স্থায়ীত্ব
অটুট রাখার কুমতলবে ঘরের পাশে সড়কের উপর বৈদ্যুতিক
পোল বসানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। এনিয়ে পত্রিকায়
নিউজ ও বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে আপাতত
থাক পরে পোল স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানানো হলেও
কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে ২০ বছর পূর্বের অবৈধ
কর্মকান্ডের খেসারত গুণতে হচ্ছে আজকে। সরকারি ভাবে
সড়ক নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু খাস জমি রাস্তায়
ব্যবহার ও অবৈধ ঘরের দখল উচ্ছেদ না করে সামাদ মার্কেটের
পাশ দিয়ে (দেড়-দু’ ফুট) ফাঁকা রেখে সড়ক নির্মানে
মাটি কাটার কাজ শুরু হলে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয়। রবিবার
সকালে শ্রমিকরা সামাদ মার্কেটের কাছাকাছি দূরত্বে
কাজ করার সময় লাভলু ও লাল্টু বাধার সৃষ্টি করে এবং
মারমুখো অবস্থার উদ্ভব ঘটে। পরবর্তীতে আগরদাড়ি
এলাকার বহু লোকজন সেখানে পৌছে (কেউ কেউ
লাঠিশোটা হাতে) ঘরের পাশ দিয়ে (দু’ফুট) মাটি কেটে
কাজ শুরু করতে থাকে। এসময় আঃ সামাদ ও তার লোকজন
ঘরের গা দিয়ে কাজ না করে রাস্তার মাঝ বরাবর কাজ করার দাবী জানায়। দু’পক্ষের মধ্যে তখন উত্যক্ত বাক্য বিনিময় হয়।
আক্রমনাত্মক পরিস্থিতির মুখে অনেকে শান্ত করার চেষ্টা
করেন। আগরদাড়ি গ্রামের ইসহাক আলী জানান, সকালে
শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লাভলু ও লাল্টুসহ ৪/৫ জন বাধা
দেয়। শ্রমিক বাবু ও কালামকে মারতে যায়। জানতে পেরে
গ্রামের লোকজন মারতে যাওয়ার কারণ জানতে চায় এবং
ইঞ্জিনিয়ারের সিদ্ধান্ত মত কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু
সামাদেরা কাজ করতে দিচ্ছেনা, তারা মার্কেট থেকে ৪/৫
ফুট দূর দিয়ে (মসজিদের দিকে সরিয়ে নিয়ে) রাস্তা করতে
জোর করছে। কাজের ম্যানেজার শাহজাহান আলি বলেন, রাস্তার
কাজে বাধা দেওয়ায় তারা থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি
নিচ্ছেন।